নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
এক প্রসূতির মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিতলির অভিযোগে কান্দি মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার আত্মীয়েরা।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে সুস্মিতা রাজবংশী (২০) নামে ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি কান্দির হিজল এলাকার হরিনগরের বাসিন্দা। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দিনভর যন্ত্রনায় ছটফট করলেও চিকিৎসক সুস্মিতাকে ভাল করে দেখেননি। কয়েক দফা ইঞ্জেকশন দিয়েই দায় এড়িয়েছেন। ওই দিন সন্ধ্যায় সুস্মিতার বাড়ির লোকদের জানানো হয়, মারা গিয়েছে সুস্মিতার সন্তান। দ্রুত তাঁকে বহরমপুর মাতৃ সদনে রেফারও করে দেওয়া হয়। সুস্মিতারে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বহরমপুর নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান। তাঁর পরিজনেরা কান্দি হাসপাতালে ফিরে এসে সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সুস্মিতার বাবা নরেন রাজবংশী বলেন, “প্রসবের আগেই যে বাচ্চা মারা গিয়েছে সে কথা আমাদের আগে জানানো হলে আমরা অনেক আগেই মেয়েকে বহরমপুরে নিয়ে চলে যেতাম। এই গাফিতলির কারণে মেয়েটা মারা যেত না।” কান্দির সিপিআই লোকাল কমিটির সম্পাদক ফুলু মিঞা বলেন, “চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসকের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।” কান্দি মহকুমা হাসপাতালের সুপার মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, “মৃতার বাড়ির তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
পড়ে মৃত্যু। মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ললিতা দাস (৩৫) নামে এক মহিলার। বাড়ি খড়গ্রামের বালিয়া এলাকার বাতুর গ্রামে। |