নিজস্ব সংবাদাদাতা • তুফানগঞ্জ |
ওয়ার্ডের মেঝেতে ছানাপোনা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেড়াল। বাইরে শুয়োর, গরু ও ছাগলের অবাধ যাতায়াত। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের ছবি। ওই ঘটনায় রোগীর বাড়ির লোকজন তো বটে এলাকার বাসিন্দারের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ওই পরিস্থিতি চললেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দায় এড়াচ্ছেন। যদিও তুফানগঞ্জের মহকুমাশাসক তথা মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পালদেন শেরপা বলেন, “এখন বেড়ালের তেমন উৎপাত থাকার কথা নয়। তবে হাসপাতাল চত্বরে গবাদি পশু ও শুয়োরের বিচরণের সমস্যার কথা জানি। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার গরু ও শুয়োরের মালিকদের ডেকে সতর্ক করবেন। এর পরেও কাজ না হলে হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখলে ওই সমস্ত পশু আটক করার কথা ভাবতে হবে।” |
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তুফানগঞ্জের ওই হাসপাতাল চত্বর লাগোয়া এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে শুয়োর পালন চলছে। সেখান থেকে হাসপাতাল চত্বরে দল বেঁধে ঢুকছে। হাসপাতালের বিভিন্ন রাস্তা ও কোয়ার্টার লাগোয়া এলাকা নোংরা করছে। ওই পরিস্থিতিতে দুর্গন্ধে টেকা দায়। রোগীর বাড়ির লোকজনকে নাকে রুমাল দিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তুফানগঞ্জের যুব কংগ্রেস সভাপতি শুভময় সরকার বলেন, “বেড়ালের আঁচড়ের আতঙ্ক সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে রোগী দেখতে যেতে হয়। অনেকে জখম হয়েছেন। বাইরের পরিস্থিতি দেখলে মনে হবে হাসপাতাল নয়। এটা গবাদি পশুর খামার। বেশ কয়েক বার কর্তৃপক্ষকে এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।” তুফানগঞ্জ পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলর বিশ্বজিৎ দে বলেন, “হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা কাটানো জরুরি। পুরসভার উদাসীনতায় শহরে শুয়োর পালনের বেআইনি কারবার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।” যদিও উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরসভার কর্তারা। তুফানগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রমেশ সরকার বলেন, “কয়েক মাস আগে হাসপাতাল এলাকা থেকে ৪টি শুয়োর ধরে নিলাম করার পরে কিছুদিন সমস্যা কম ছিল। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |