জোটধর্ম পালন না করে তিনি কুৎসা রটাচ্ছিলেন, এই অভিযোগে দিন পনেরো আগে মগরাহাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কংগ্রেসের কাঞ্চন নস্করের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। শুক্রবার সেই অনাস্থার উপরে ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন কাঞ্চনবাবু। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনায় ভুলভ্রান্তি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করতাম। সেই কারণে অনাস্থা এনে আমায় সরিয়ে দেওয়া হল। আমার বিরুদ্ধে তাদের সম্পর্কে কুৎসা রটানোর যে অভিযোগ তৃণমূল তুলেছে, তা মিথ্যা।” ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩৮টি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৃণমূল পায় ১৯টি, কংগ্রেস ১১টি এবং সিপিএম ৮টি আসন। তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট করে সমিতি পরিচালনা করতে থাকে। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটাভুটির সময়ে সিপিএম সদস্যেরা উপস্থিত থাকলেও ভোট দানে বিরত ছিলেন।
কংগ্রেসের তিন সদস্য তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাঞ্চনবাবুর বিরুদ্ধে ভোট দেন। বাকি কংগ্রেস সদস্যেরা অনুপস্থিত ছিলেন। ২২-০ ভোটে হেরে যান কাঞ্চনবাবু। বিডিও রিজওয়ান ওয়াহাব বলেন, “ভোটাভুটিতে সহ-সভাপতি হেরে গিয়েছেন। নতুন সহ-সভাপতি কে হবেন, তা পরে ঠিক করা হবে।” ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুজিত পাটোয়ারি বলেন, “তৃণমূল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনাস্থা আনে। তা ছাড়া, আমাদের তিন সদস্য তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার প্রতিবাদে বাকি সদস্যেরা ভোট দেননি।” |