দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
নিকাশি বেহাল
ভাসাই ভবিতব্য
র্ষায় অসুস্থ হলে চিকিৎসক আসতে চান না। ভ্যান বা রিকশার ভাড়া পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। কয়েকটি জায়গায় জমা জল সরতে তিন মাসও লেগে যায়। অভিযোগ, বেহাল নিকাশির কারণে ফি-বর্ষায় পৈলান থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চকরাজুমোল্লা, উত্তর কাজিরহাট, সাপখালি, বিষ্ণুপুর, এনায়েতপুর, দৌলতাবাদ, ভান্ডারিয়া, কন্যানগর গভার্নমেন্ট কলোনি, গন্ধবাদুলি-সহ সংলগ্ন এলাকায় আজও ঠিকমতো নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যা আছে তারও দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় বুজে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অঞ্চলের নিকাশির অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত ভাবে নিচু জমি উঁচু করে বাড়ি নির্মাণ। এলাকার বাসিন্দা শতদ্রু সামন্ত বলেন, ‘‘বর্ষার সময় জল জমে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হয়। মশার উপদ্রব বাড়ে। জলবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ে।”
পৈলান থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিকাশি চড়িয়াল খাল এবং ডায়মন্ড হারবারে গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, নিকাশি পথের অনেকটাই বুজে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের দুই পাশের নিকাশি নালাও বেহাল। তাই প্রতি বর্ষায় জল জমছে।
বিষ্ণুপুর পশ্চিমের বিধায়ক তৃণমূলের দিলীপ মণ্ডল বলেন, “এই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু কাজও শুরু হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষায় কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসক আসতে চান না। কারণ অধিকাংশ রাস্তা জলমগ্ন থাকে। জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে কখনও কখনও পাঁচ গুণ ভাড়াও দিতে হয়। জল সরতে কোথাও কোথাও তিন মাসও লেগে যায়।
নিকাশি সমস্যার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ বলেন, “ওই এলাকার নিকাশির দায়িত্ব জেলা পরিষদের নয়। পূর্ত দফতর রাস্তার কাজ করছে। পরে তারাই নিকাশির কাজ করবে।” যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “কোনও এলাকায় প্রয়োজন হলে পূর্ত দফতর নর্দমার কাজ করে দেয়। কিন্তু সেই এলাকার নিকাশির দায়িত্ব পূর্ত দফতরের নয়।”
রাজ্য সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ওই অঞ্চলের বিধায়ক আমাদের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে আমরা ওই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করার পরিকল্পনা করছি।”


ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.