পিএফ পেনশন নিয়ে সিদ্ধান্ত হল না অছি পরিষদের বৈঠকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন ন্যূনতম ১ হাজার টাকা করতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না অছি পরিষদ। তবে পরিষদ সূত্রের খবর, ওই অর্থের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ)-এর ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ ১ হাজার টাকা করতে বছরে অতিরিক্ত ৫৩৯ কোটি টাকা লাগবে। এই অর্থ জোগাড়ের জন্য কেন্দ্র প্রস্তাব দেয়, পি এফের সাধারণ সদস্যদের পেনশন হিসাব করার সময় চাকরির মেয়াদের সঙ্গে যে বাড়তি ২ বছর বোনাস যোগ করার নিয়ম আছে, তা বাতিল করা হোক। এটা হলে সিংহভাগ সদস্যের পেনশনের পরিমাণ কমবে। আর ওই উদ্বৃত্ত অর্থ জমবে পেনশন তহবিলে।
কিন্তু এ দিনের বৈঠকে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন অছি পরিষদের কর্মীরা। ফলে আটকে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ। পরে ঘরোয়া ভাবে খাড়গে প্রতিনিধিদের জানান, ওই অতিরিক্ত অর্থ দিতে কেন্দ্রের আপত্তি থাকলেও এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। অছি পরিষদের দুই কর্মী প্রতিনিধি এআইটিইউসি-র ডি এল সচদেব ও এআইইউটিইউসি-র শঙ্কর সাহা, দুজনেই বলেন, “আমাদের দাবি, বাড়তি অর্থ কেন্দ্রই দিক। কিন্তু কেন্দ্র চাইছে ওই বোঝা কর্মীদের উপর চাপাতে। এর তীব্র বিরোধিতা করেছি।” পিএফে কর্মী ও নিয়োগকর্তারা ছাড়াও কেন্দ্র কর্মীদের বেতনের ১.১৬% অনুদান দেয়। ন্যূনতম পেনশন ১ হাজার টাকা করতে দরকার আরও ০.৬৩%। |
দ্রুত টাকার হাল ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী-সুব্বারাও বৈঠক
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি ও মুম্বই |
সামান্য স্বস্তি দিয়ে পর পর দু’দিনে মোট ৬২ পয়সা বেড়েছে টাকার দাম। দীর্ঘ মেয়াদেও ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার দরকে চাঙ্গা করার পথ খুঁজতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও। হাজির ছিলেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সি রঙ্গরাজন-ও। আগের দিন ৩৫ পয়সা বাড়ার পর শুক্রবারও ২৭ পয়সা ওঠায় এক ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫৫.৩৮ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এই উত্থানের কারণ মূলত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ। রঙ্গরাজন জানান, বৈঠকে টাকার পতন রুখতে সম্ভাব্য পদক্ষেপের পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়েও। এ দিকে, দেশের আর্থিক সঙ্কট ও টাকার পতনের কারণ হিসেবে জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতা এবং বিরোধী দলগুলির অবস্থানের দিকেই আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। তাঁর দাবি, রাজনীতির বাধায় আর্থিক সংস্কারের উদ্যোগ ভেস্তে না গেলে, টাকা এতটা পড়ত না। |