চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদিকে শাস্তি দেওয়ায় পাকিস্তানের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ কমিয়ে দিল আমেরিকা। আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খোঁজায় মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-কে সাহায্য করেছিলেন আফ্রিদি। উপজাতি অধ্যুষিত খাইবার এলাকার বিশেষ আদালত দেশদ্রোহের দায়ে আফ্রিদিকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে। মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের মতে, আফ্রিদির শাস্তি একেবারেই অযৌক্তিক।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মার্কিন কম্যান্ডোদের হানায় নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। যে বাড়িতে লাদেন থাকতেন সেখানে প্রতিষেধক দেওয়ার অছিলায় গিয়েছিলেন আফ্রিদি। তাঁর সংগৃহীত ডিএনএ-র নমুনা থেকে ওই বাড়িতে ওসামার উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হন মার্কিন গোয়েন্দারা।
আজ পাকিস্তানকে দেওয়া আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সেনেটের অর্থ বন্টন কমিটি। হিলারি ক্লিন্টনের মতে, বিশ্বের অন্যতম খুনির সন্ধান পেতে সাহায্য করেছিলেন আফ্রিদি। তাতে স্পষ্টতই পাকিস্তানেরও মঙ্গল হয়েছে। তাই আফ্রিদির শাস্তি নিয়ে আমেরিকা সত্যিই দুঃখিত। হিলারি সাফ জানিয়েছেন, এই বিষয় নিয়ে তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলবেন।
এক ধাপ এগিয়ে এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের প্রভাবশালী সদস্য টম রুনি। তাঁর মতে, আফ্রিদিকে এখনই নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য ওবামার পাকিস্তানকে চাপ দেওয়া উচিত।
তবে আফ্রিদি নিয়ে এখনই অবস্থান পরিবর্তনের কোনও লক্ষণ দেখায়নি পাকিস্তান। বরং তাঁর শাস্তির পক্ষে মুখ খুলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি। তাঁর বক্তব্য, যে কোনও দেশেই বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করা অপরাধ। বিলাবলের দাবি, পাকিস্তানে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরকার। তাই আদালতের রায়ের উপরে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
|
ভারত-পাক উদার ভিসা চুক্তি আপাতত সই করা হচ্ছে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। ভারত-পাকিস্তান দু’দিনের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের আজই ছিল শেষ দিন। এই বৈঠকেই উদার ভিসা চুক্তি সই হয়ে যাবে বলে আশা করেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বৈঠক শেষে পাক সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন উদার ভিসা ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি সই করতে তারাও আগ্রহী। কিন্তু সেটা এখনই করা হবে না। অন্তত এই সচিব পর্যায়ের বৈঠকের মধ্যে তো নয়ই। মালিকের বক্তব্য, ভবিষ্যতে কবে দু’দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে তা সংবাদমাধ্যমকে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গেই মালিক জানিয়েছেন, ভিসা চুক্তি সইয়ের সময় চিদম্বরম পাকিস্তানে উপস্থিত থাকতে পারলে তিনি খুশিই হবেন। চুক্তি সইয়ের ব্যর্থতা নিয়ে নয়াদিল্লিতে ভারতের বিদেশসচিব রঞ্জন মাথাই জানিয়েছেন, ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও পাকিস্তানের ভিসা সংক্রান্ত পদ্ধতিগত কিছু দেরির জন্যই চুক্তি সই হল না। তবে শুধু ভিসাই নয়, আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সন্ত্রাস প্রসঙ্গও। |