|
|
|
|
অনুদান চায় বেহাল স্টেডিয়াম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
ছাদের গায়ে বড় বড় ফাটল। উঁকি মারছে আগাছার জঙ্গল। ভিতরে থাকলে ছাদ ভেঙে পড়তে পারে মাথায়। বাইরে কংক্রিটের চাঁই ভেঙে চাপা পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। এমনই অবস্থা কাটোয়া শহরের একমাত্র স্টেডিয়ামটির। কাটোয়া পুরসভা সূত্রে জানা যায়, রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কয়েক মাস আগে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা জমা দিলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান, বাম সরকারের আমলে তাঁরা স্টেডিয়াম সংস্কারের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “আগের সরকার তো বটেই, নতুন সরকারের কাছেও স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর, এমনকী ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।” |
|
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৮ সালের ২৮ মে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হয়েছিল। বছর কয়েক যেতে না যেতেই পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে শুরু করে। বর্তমানে নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল। ভেঙে পড়েছে স্টেডিয়ামে ঢোকার প্রধান ফটকও। কাটোয়া শহরের ক্রীড়ামোদী মানুষদের মতে, শীঘ্র সংস্কার না হলে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে গোটা স্টেডিয়ামই। বাসিন্দারা জানান, আজকাল শীতকালীন খেলা ছাড়া ওই স্টেডিয়ামে আর কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় না বললেই চলে। বেশির ভাগ সময়েই মাঠে গরু-বাছুর চরে বেড়ায়। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস পরেই শুরু হবে কাটোয়া মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত ফুটবল প্রতিযোগিতা। আগে বেশ কয়েক বার কাটোয়া স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তা করা হয় না। উদ্বোধনের সময়ে স্টেডিয়ামের দায়িত্বে ছিল ‘কাটোয়া স্টেডিয়াম কমিটি’। এখন কে বা কারা সেই কমিটির সদস্য, সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। এখন কাটোয়ার মহকুমাশাসকই ওই স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দেন। |
|
পাশাপাশি স্টেডিয়ামের দেখভালের জন্য রয়েছেন মহকুমা পুলিশের এমার্জেন্সি ফোর্সের (ইএফ) ত্রিশ জন পুলিশকর্মী। স্টেডিয়ামের নীচে দু’টি ঘরে থাকেন তাঁরা। তাঁদের কয়েকজন জানান, বর্ষাকালে স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে চুঁইয়ে জল পড়ে। কাটোয়া পুরসভা বেশ কয়েকবার ঘরের অস্থায়ী সংস্কার করেছে। কিন্তু তাতে সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁরা জানান, বর্ষায় মহকুমাশাসক বা পুরসভার দফতর থেকে তাঁদেরকে ত্রিপল এনে থাকতে হয়। কাটোয়া স্টেডিয়াম কমিটির ‘প্রধান’ তথা মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করনম বলেন, “বেশ কয়েক মাস আগে কাটোয়া পুরসভা রাজ্য সরকারের কাছে স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ১৩ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব জমা দিয়েছে।” রাজ্য ক্রীড়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার মতো বেশ কয়েকটি জায়গার প্রকল্প তাঁদের কাছে এসেছে। ক্রীড়া দফতরের কর্তারা এসে এই সব স্টেডিয়ামগুলির রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য অর্থ অনুমোদন করা হবে।
|
ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
|
|
|
|