|
|
|
|
গরমে কাহিল শিল্পাঞ্চল |
রাস্তা ফাঁকা, ট্রাফিক পুলিশ একা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর ও আসানসোল |
রাস্তাঘাট খাঁ খাঁ করছে। বাজারে দোকানপাট খোলা থাকলেও বিক্রিবাটা প্রায় বন্ধ। নিতান্তই উপায়হীন যাঁরা, তাঁরাই শুধু বাইরে বেরোচ্ছেন। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছেন শিল্পাঞ্চলবাসী।
গত কয়েক দিন ধরেই জেলা জুড়ে যেন দাবদাহ চলছে। শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন। আবহাওয়া দফতর রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করেছে, একান্ত বাধ্য না হলে দুপুরের দিকে যেন বাসিন্দারা বাইরে না বেরোন। বাইরের কাজকর্ম তাই সবাই দুপুরের আগেই সেরে ফেলতে চাইছেন। বেলা ১১টা বাজতে না বাজতেই বইছে তপ্ত হাওয়া। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
বাইরে বেরোতে হলে রোদ চশমা ও মাথায়-মুখে ভিজে কাপড় জড়িয়ে নিচ্ছেন সকলেই। রুমালে মুখচোখ বেঁধে চলাফেরা করেও স্বস্তি মিলছে না। একটু ছায়া পেলেই দু’দণ্ড জিরিয়ে নিচ্ছেন পথচারীরা। ভিড় জমছে লেবু-জল বিক্রেতার কাছে। নিমেষে উধাও গ্লাস-গ্লাস লেবু-জল। অফিস-কাছারিতে ফ্যানের তলা থেকে কেউই বিশেষ সরছেন না। শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিও কাহিল। পুকুর অথবা ডোবার জলে গা ডুবিয়ে বসে থাকছে গরু, মোষ, কুকুর। সুযোগ পেলেই পাখিরা ডানা ঝাপটাচ্ছে পুকুর বা খালে। গরমে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচও। তবে রেহাই নেই ট্রাফিক পুলিশের। মাথায় ছাতা, রুমালে চোখ-মুখ ঢেকে কাজ করে যেতে হচ্ছে তাঁদের। দুর্গাপুরে পুরভোটের প্রচার চলছে জোরকদমে। কিন্তু সেই কর্মসূচি সারা হচ্ছে একেবারে সকালে, নয়তো সন্ধ্যায়। স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড এলাকা দুপুরের আগেই জনশূন্য। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মলে দু’এক জনের দেখা মিললেও অন্য ব্যবসায়ীরা কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন। পরিষেবা নিতে আসা মানুষের প্রায় দেখা নেই সরকারি অফিসগুলিতে। জানালা খুলে উঁকি মারতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। বাজারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বিপুল চাহিদা। পানাগড় থেকে চিনাকুড়ি, সর্বত্রই একই দৃশ্য। এই পরিস্থিতি কবে কাটবে, জানা নেই। গরম থেকে মুক্তি পেতে সবার নজর এখন আকাশে। |
|
|
|
|
|