১৪ মাস বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা না মেটায় প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। সোমবার মালদহের রতুয়ার পরাণপুরে রতুয়া-মালদহ রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। টানা এই অবরোধে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। এ দিনই প্রকাশিত হয় মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার ফল। চাঁচল থেকে মালদহে রেজাল্ট নিতে যাওয়ার পথে অবরোধে আটকে পড়েন একাধিক স্কুলের প্রধানশিক্ষকেরা। বাসিন্দারা জানান, বিক্ষোভের ভয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কেউ এলাকায় আসেননি। স্টেশন ম্যানেজারের মোবাইল বন্ধ করা ছিল বলে অভিযোগ। পরে রতুয়া থানার ওসি সুমন্ত বিশ্বাস বণ্টন কোম্পানির কর্র্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর মাধ্যমেই আশ্বাস পেয়ে দুপুর ২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির উত্তর মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বরুণ বিশ্বাস বলেন, “প্রচণ্ড গরম পড়ার পাশাপাশি বোরোর মরসুম চলছে। এতেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বহু এলাকায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা চলছে। সে সব মেটানোর চেষ্টা করা হবে।” মালদহ জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ মানজারুল ইসলামও বলেন, “বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করছি।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বছর এপ্রিল মাস থেকে পরাণপুরের নামোটোলা, উপরটোলা ও ঈদগাহ পাড়ার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জেরবার। এলাকাগুলিতে তিন দশক আগের বিদ্যুতের তার পাল্টানো হয়নি। সেই তার অনেক জায়গায় ছিঁড়ে পড়েছে। কোথাও বিপজ্জনকভাবে নীচু হয়ে গিয়েছে। লো-ভোল্টেজে আলো, পাখা চলে না। মাস খানেক আগে সমস্যা মিটে যাবে বলে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন স্টেশন ম্যানেজার। অবস্থা পাল্টায়নি। গত রবিবার রাতের প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এলাকার এক বৃদ্ধ ও শিশু। তাঁদের আড়াইডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা এ দিন সকাল ৮টা থেকে অবরোধ শুরু করেন। |