নিকাশি ব্যবস্থা না-থাকায় উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর পুরসভা সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। এ বারও বর্ষায় তাঁরা জলবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যার কথা প্রশাসনের কর্তাদের কয়েকবার জানিয়ে লাভ হয়নি। সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ ইজরাইল। তিনি বলেন, “এলাকার সমস্যার কথা জানি। গত বছর বর্ষায় এলাকা থেকে জল বের করার জন্য এলাকার নালা কাটতে হয়েছে। সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন নিকাশি ব্যবস্থা। ওই বিষয়ে জেলা পরিষদের কর্তাদের জানানো হয়েছে। সেখান থেকে টাকা পাওয়া গেলে কাজ শুরু হয়ে যাবে।” কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির ওই বক্তব্যে এলাকার বাসিন্দারা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষায় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা একই কথা বলেন। কিন্তু পরে ফিরেও দেখেন না। ফলে শহর সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পঞ্চায়েত এলাকার স্টেট ফার্ম কলোনি, বাবুপাড়া, কলেজ পাড়া সহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতি বছর বর্ষায় জলে ভাসছে। নিকাশি ব্যবস্থা না-থাকায় বৃষ্টির জল বাইরে বার হবে তার উপায় নেই সেখানে। টানা কয়েক সপ্তাহ জলবন্দি হয়ে থাকতে হয় বাসিন্দাদের। গত বছর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যে প্রায় এক মাস বাড়ির উঠানে জল দাঁড়িয়ে ছিল। বাসিন্দারা জানান, জলবন্দি অবস্থার কথা জানানোর পরেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিপাকে পড়ে গত বছর বর্ষায় নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে ইসলামপুরে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে হয়েছে। স্টেট ফার্ম কলোনির বাসিন্দা মনোজিৎ দাস, বাপন দাস বলেন, “প্রতি বছর বর্ষায় এলাকা জলে ভাসে। উঠানে এক হাঁটু জল জমে থাকে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কর্তাদের পরিস্থিতির কথা সবই জানেন। কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।” গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত বছর বাড়ির ভিতরে জমে থাকা জল বাইরে বার করতে এলাকার লোকজন রাস্তা কাটতে বাধ্য হন। কিন্তু নিকাশি নালা না-থাকায় ওই ব্যবস্থা নিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু যে ঘরবাড়ি জলবন্দি হয়ে থাকে সেটা নয়। রাস্তা, ফার্ম কলোনি প্রাইমারি স্কুল মাঠ জলে ভাসে। হাঁটু জল ভেঙে তবে কচিকাঁচারা স্কুলে পৌছতে পারে। একটানা বৃষ্টি হলে স্কুল-কলেজ ও হাট-বাজারে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। একই পরিস্থিতি কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ষার সময় অনেক ভেবে তবেই তাঁরা বাড়ির বাইরে পা রাখেন। |