রোগীদের রাতের খাবারে দেওয়া হয়েছিল পচা মাংস। দুর্গন্ধে সেই খাবার মুখে তুলতে পারেননি রোগীরা। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে শনিবার। তার জের গড়ায় সোমবার পর্যন্ত। পচা খাবার দেওয়ার প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকেই অনশন শুরু করেন রোগীদের একাংশ। তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ, এক-আধ দিন নয়। মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। ওই খাবার খেলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন বলে তাঁদের অভিযোগ।
শনিবারের ওই ঘটনায় অবশ্য নিজেদের গাফিলতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি হাসপাতালের সুপার বারীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ফ্রিজে ৩০০ রোগীর মাংস রাখার মতো ব্যবস্থা নেই আমাদের। তার উপরে ভীষণ গরম। দুপুরে মাংস রান্না করে ঠিকাদার সংস্থা ম্যাটাডর ভ্যানে করে আনছিল। রাস্তায় ভ্যান খারাপ হয়ে যাওয়ায় কয়েক ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। তাতেই মাংসে একটু গন্ধ হয়ে গিয়েছিল।” |
অনশনরত রোগীরা। সোমবার। ছবি: বিতান ভট্টাচার্য |
বছরখানেক আগে রাজ্যের ১৩টি ইএসআই হাসপাতালে খাবার সরবরাহের জন্য দরপত্র চাওয়া হয়। ইএসআই কর্পোরেশন প্রত্যেক রোগীর জন্য দৈনিক খাবার বাবদ ৫৪ টাকা করে বরাদ্দ করে। কর্পোরেশন সূত্রের খবর, একসঙ্গে দু’টি বা তিনটি ইএসআই হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করতে চেয়ে একাধিক সংস্থা আবেদন করেছিল। তা থেকে কিছু সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। রাজ্যের কয়েকটি ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিযোগ, ওই সব সংস্থা নিম্ন মানের খাবার সরবরাহ করে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। রোগীদের কী খাবার দেওয়া হচ্ছে, তা দেখার জন্য যথাযথ নজরদারির ব্যবস্থা নেই কেন? বারীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “শনিবার রাতে হাসপাতালে বেশি কর্মী থাকেন না। তাই কেউ নজরদারি করেননি। তবে রোজ এমন হয় না। এটা দুর্ঘটনা। আমাদের বাড়িতেও তো গরমে খাবার নষ্ট হয়। তবে শনিবারের ঘটনার জন্য সোমবার বিক্ষোভ হওয়ায় মনে হচ্ছে, কেউ নিজেদের স্বার্থে এটা করেছেন।” |