ফের থমকে গেল জলপাইগুড়ি শহরের জঞ্জাল অপসারণের কাজ। শুক্রবার থেকে জঞ্জাল অপসারণের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ছয় মাসে এ নিয়ে চার বার জঞ্জাল অপসারণের কাজ বন্ধ হল। প্রতিবারই একই সমস্যার কারণে শহরের আবর্জনা সাফাই পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্যা ডাম্পিং গ্রাউন্ড। বাসিন্দাদের বাধায় চলতি বছরের শুরু থেকেই পুরসভার স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড পাঙ্গায় ময়লা ফেলতে পারছে না জলপাইগুড়ি পুরসভা। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রশাসনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে পাঙ্গার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ব্যবহার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। ছয় মাসের মধ্যে প্রশাসনের তরফে পুর কর্তৃপক্ষকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য জমি তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এর পরে মন্ডলঘাট এলাকার একটি জমি প্রশাসনের তরফে পুরসভাকে দেওয়া হয়। সেখানেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধের কারণে ময়লা ফেলা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণেই জমিটি পুরসভাকে হস্তান্তর করা যায়নি। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া গোশালা মোড়ের একটি এলাকায় ময়লা ফেলতে শুরু করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেখানেও বাধা তৈরি হওয়ায় শুক্রবার থেকে শহরের ময়লা অপসারণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টানা তিন দিন ধরে ময়লা সাফাই না হওয়ায় শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা থেকে শুরু করে বেগুনটারি, রায়কতপাড়া, সমাজপাড়া-সহ সর্বত্রই পুরসভার ভ্যাট উপচে পড়ে ময়লা রাস্তায় পড়েছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে বাড়ি থেকে ময়লা অপসারণও বন্ধ তিন দিন ধরে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য প্রশাসন জমি দেবে বলেছিল। সেই জমি পাওয়া যায়নি। ডাম্পিং গ্রাউন্ড ছাড়া অন্যত্র ময়লা ফেলা সম্ভব নয়। সে কারণেই কোনও বিকল্প পুরসভার সামনে নেই।” শহরের প্রধান পাইকারি ও খুচরো বাজার দিনবাজারে ময়লার স্তূপ জমেছে। স্টেশন বাজার, বয়েলখানা বাজারেরও একই দশা। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণের দায়িত্বে থাকা অন্যতম আধিকারিক বিনয় সরকার বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ড না পাওয়া গেলে ময়লা সংগ্রহ সম্ভব নয়। সমস্যা সমাধানে শহরবাসীরও উদ্যোগ চাই।” |