বাম আমলেই ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই সিটুর দার্জিলিং জেলা সম্পাদক অজিত সরকারের ছেলে অচিন্ত্যবাবু হোটেল খুলেছেন বলে অভিযোগ। প্রথমে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি থেকে জমি নিয়ে সেখানে একটি চারা বিক্রির নার্সারি তৈরি হয়েছিল। বছর তিনেক আগে তিনি হোটেল খোলেন। কোনও লাইসেন্স ছাড়াই ওই হোটেল চালানো হয় বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, কয়েকজন বাম নেতার মদতেই পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে নিয়ন্ত্রিত বাজারে। সেখানে অচিন্ত্যবাবুর বেআইনি কাজকর্ম নেহাতই দুর্নীতির হিমশৈলের চূড়ামাত্র বলে তাঁদের অভিমত। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব অবশ্য দাবি করেছেন, “আগে কী হয়েছে জানি না। গত কয়েক মাস ধরে নিয়ন্ত্রিত বাজারকে আমরা একটা শৃঙ্খলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছি। অচিন্ত্য সরকারের হোটেলের বেআইনি কাজকর্ম আচমকা আমাদের সামনে চলে এসেছে।” দুর্নীতি রোধে করতে প্রশাসন যে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে তার প্রমাণ, নিয়ন্ত্রিত বাজার পর্ষদের কর্তারা ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে সমস্ত রকমের নির্মাণ আপাতত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব গোপাল দে জানিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তাদের নির্দেশে বাজারে সমস্ত ধরনের নির্মাণ বন্ধ রয়েছে। অচিন্ত্যবাবুর দোকানের দোতলার নির্মাণও বন্ধ। পূর্বতন বোর্ড অচিন্ত্যবাবুকে দোতলা তৈরির অনুমতি দিয়েছিল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একাংশ ব্যবসায়ী এবং নিয়ন্ত্রিত বাজারের কর্মী আধিকারিকদের এই দুর্নীতির সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাজারে ছোট গাড়ির পার্কিং নিয়েও শুরু হয়েছিল বেআইনি ব্যবসা। মহকুমা প্রশাসন তা বন্ধ করতে উদ্যোগী হতেই আন্দোলনের নামে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ নিয়ন্ত্রিত বাজারের একাংশ ব্যবসায়ীদের। অভিযোগ, সিটুর পক্ষ থেকে বাজারে মিছিল এবং ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সোমবারও সকালে বাজারে মিছিল ও সভা করে সিটু। বাজারের সিটু নেতা বাবলু ভৌমিক বলেন, “চালকদের সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা হচ্ছে না দেখে সোমবার থেকে ধর্মঘটের কথা ছিল। তবে মহকুমাশাসক তিন-চার দিনের মধ্যে ফের বৈঠকে বসার আশ্বাস দেওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়।” শিলিগুড়ি ফল ও সবজি পাইকারী ব্যবসায়ী সমিতির ক্ষোভ, “আচমকা ধর্মঘট ডেকে ব্যবসায়ীদের কেন বিপাকে ফেলা হবে? ” ফোসিনের সম্পাদক বলেন, “সাত দিন আগে না-জানিয়ে ধর্মঘট ডাকা হলে প্রশাসন যাতে কঠোর পদক্ষেপ করে মহকুমাশাসকের কাছে সেই আর্জি জানাব।” |