|
|
|
|
বঙ্গবিভূষণের দু’লক্ষ ত্রাণ তহবিলে দিতে ইচ্ছুক সুচিত্রা সেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের দেওয়া ‘বঙ্গবিভূষণ’ শিরোপার সঙ্গে সুচিত্রা সেন যে টাকার চেক পেয়েছেন, তা তিনি সরকারকে ফিরিয়ে দিতে চান। প্রাক্তন অভিনেত্রীর ইচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ওই অর্থ জমা পড়ুক। সোমবার মহাকরণ-সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। সরকারেরও এতে নীতিগত আপত্তি নেই। তবে এ জন্য কিছু সরকারি নিয়ম-বিধি আছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও অনেকের সঙ্গে সুচিত্রা সেনকে এ বার বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করার কথা রাজ্য ঘোষণা করেছিল। রবিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সেই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সুচিত্রাদেবীর হয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে হাজির ছিলেন তাঁর কন্যা মুনমুন ও নাতনি রাইমা সেন। মানপত্র-উত্তরীয়-উপঢৌকনের সঙ্গে দু’লক্ষ টাকার চেক মুনমুনের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সুচিত্রাদেবীর ‘ইচ্ছা’র কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে তোলেন মুনমুন। বলেন, “মা চান, টাকাটা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা পড়ুক।” কিন্তু চেক যে লেখা সম্মান-প্রাপকের নামে! তা কী ভাবে ত্রাণ তহবিলে জমা পড়বে?
আপাতত অর্থ দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ দিকে পণ্ডিত রবিশঙ্করের “বঙ্গবিভূষণ” নিতে অস্বীকার করার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস-সূত্রের বক্তব্য: ওঁর নাম যখন ওই সম্মানের জন্য ঘোষিত হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী তখনই বলেছিলেন, পণ্ডিত রবিশঙ্কর ‘রাজি থাকলে’ তাঁর হাতে পুরস্কারটি তুলে দিয়ে সরকার গর্ব বোধ করবে। তার পরে সরকারি তরফে আমেরিকায় রবিশঙ্করের কাছে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণও পৌঁছায়। কিন্তু রবিবার অনুষ্ঠানের আগেই মুখ্যমন্ত্রী জেনে যান, পণ্ডিত রবিশঙ্কর সম্মান গ্রহণে অপারগ। কারণ, তাঁর সঙ্গে আরও যাঁদের একই ভাবে সম্মানিত করা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চে, একই সম্মান নেওয়াটাকে তিনি ‘সমীচীন’ মনে করছেন না।
ঠিক এই জায়গাতেই রাজ্য বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে দেখছে। কেন? এ নিয়ে বিতর্ক ‘বাড়াতে না-চেয়েও’ মহাকরণের ব্যাখ্যা: কাকে কোন সম্মান দেওয়া হবে, সেটা যিনি সম্মান দিচ্ছেন, তাঁর বিবেচনার বিষয়। কেউ কোনও সম্মান নিতে রাজি না-ই হতে পারেন। কিন্তু কার সঙ্গে, কাকে, কী সম্মান দেওয়া হবে, তা কোনও সম্মান-প্রাপকের বিবেচ্য হতে পারে না বলে মহাকরণ-সূত্রে মন্তব্য করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|