ফের এক আদিবাসী নেতাকে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে নিয়ে এলো সিপিএম। দল সূত্রে খবর, শেষ বার ২০০৫ সালে হুড়ার লালপুরে জেলা সম্মেলনে জেলায় দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত বলরামপুরের আদিবাসী নেতা বিক্রম টুডু সম্পাদকমণ্ডলীতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের বছরই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাঁই হয়নি কোনও আদিবাসী নেতার। সোমবার দলের জেলা কমিটির বৈঠকের পর বিরোধী দলনেতা সূযর্কান্ত মিশ্র ১৪ জনের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমরা এ বার একজন
|
রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম। |
নতুন মুখকে সম্পাদকমণ্ডলীতে এনেছি। রবীন্দ্রনাবাবু চাকরি ছেড়ে দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবেই কাজ করবেন।”
দীর্ঘদিন পরে কেন এক আদিবাসী নেতাকে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান দেওয়া হল? দল সূত্রে খবর, বিক্রম টুডুর পরে কোনও আদিবাসী নেতাকে সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান না পাওয়ায় কোনও কোনও জায়গায় নীচু স্তরে আদিবাসী নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসে দলের জেলা সম্মেলনে সিপিএম নেতৃত্ব সেই অসন্তোষের আঁচ পান। তা ছাড়া, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই অসন্তোষ যাতে বড় আকার না নিতে পারে সে জন্য আদিবাসী নেতা হিসেবে রবীন্দ্রনাথবাবুকে সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান দেওয়া হয়েছে বলে দল সূত্রে খবর।
এই নতুন মুখ ছাড়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলী অপরিবর্তিত রয়েছে। নকুল মাহাতোকে সম্পাদকমণ্ডলীতে সম্মানীয় সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। দলের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ না করানোয় আগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শক্তিপদ গোস্বামী এ বার সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাঁই পাননি। দলের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ বলেন, “তিনি এ বার সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করাননি। তাই তাঁর বদলে আনা হয়েছে কাশীপুরের আদিবাসী নেতা রবীন্দ্রনাথ হেমব্রমকে।” রবীন্দ্রনাথবাবু এর আগে কাশীপুর থেকে তিনবার বিধায়কও নিবার্চিত হয়েছেন, কাজ করেছেন রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবেও। পাশাপাশি আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থেকে এখনও কাজ করছেন। রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “দীর্ঘদিন দলের হয়ে কাজ করছি। এই মুহুর্তে আমাকে দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে প্রয়োজন। তাই শিক্ষকতার চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।” |