|
|
|
|
অঙ্গনওয়াড়ির ঘর হবে শীঘ্রই, আশ্বাস মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরের ১ হাজার ৮৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে খোলা জায়গায়। এক সময় সব কেন্দ্রের জন্যই ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তা করা যায়নি। দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে সোমবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন শিশু-কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, খোলা জায়গায় থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোর জন্য কী ভাবে দ্রুত ঘর তৈরির করা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, “বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এখনও খোলা জায়গায় চলছে। যত দ্রুত সম্ভব ঘর তৈরির চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান কোথা থেকে আসবে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
বৈঠকে শ্যাম মুখোপাধ্যায়। -নিজস্ব চিত্র |
অঙ্গনওয়াড়ি নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কোথাও কর্মীরা সময়ে আসেন না, কোথাও নিম্মমানের খাবার দেওয়া হয়। মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রগুলো ঠিক ভাবে চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এ বার পরিদর্শন চলবে। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। এ দিন দুপুরে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে মেদিনীপুরে বৈঠক করেন মন্ত্রী। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো কেমন চলছে, এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সমস্যা হলে তা কোথায়, এ সবই আলোচনায় উঠে আসে। মন্ত্রী জানান, কিছু সমস্যা রয়েছে। তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে, এ ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। এ ক্ষেত্রে শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। কেন্দ্রগুলো যাতে ঠিক ভাবে চলে, সে জন্য নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ৯ হাজার ৯টি। এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৮৭৩টি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর রয়েছে। ২ হাজার ৩০৮টি অন্য সরকারি জায়গায় চলে। ১ হাজার ৯৯৮টি কেন্দ্র চলে বেসরকারি জায়গায়, যেখানে মাথার উপর ছাদ রয়েছে। বাকি ১ হাজার ৮৩টি কেন্দ্র রয়েছে একেবারে খোলা জায়গায়। মাথার উপর ছাদ না থাকায় রোদে-বৃষ্টিতে খুবই সমস্যা হয়। শহর এলাকায় ৩৩১টি অঙ্গনওয়াড়ি চলে ভাড়া বাড়িতে। এর মধ্যে মেদিনীপুরে ৯১টি, খড়্গপুরে ২৪০টি। যে ১ হাজার ৮৩টি কেন্দ্র খোলা জায়গায় চলে, তার মধ্যে লালগড়ে রয়েছে ২১৬টি, বেলপাহাড়িতে ৯৮টি, কেশিয়াড়িতে ৭৪টি, শালবনিতে ৪৩টি। খাতায়-কলমে জেলায় ৯ হাজার ৯টি কেন্দ্র থাকলেও সবই কী চালু রয়েছে? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, না। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্র চালু রয়েছে। বাকিগুলো বন্ধ। বিষয়টি মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|