চেন্নাই সুপার কিংস যে ভাবে প্রাণ ফিরে পেল তাতে আরও এক বার প্রমাণ হল, যার ভাগ্যে যা থাকবে সেটা তার জীবনে ঘটবেই। নানান যদি আর কিন্তু’র ওপর যে টিমটার ভাগ্য নির্ভর করেছিল তারা টুর্নামেন্টের প্লে-অফে উঠে গিয়ে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল। প্লে-অফে উঠতে আরসিবি-র শেষ ম্যাচ থেকে দু’পয়েন্ট দরকার ছিল। কিন্তু তার জন্য মাত্র ১৩২ রানের টার্গেট পেয়েও গেইল, কোহলি, দিলশান, ডেভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানরা সুযোগটাকে স্রেফ হাওয়ায় উড়িয়ে দিল। তবে এ জন্যই তো ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। আমি মনে করি, প্লে-অফের চারটে টিমের মধ্যে সিএসকে-র মোটিভেশন এখন সবচেয়ে বেশি। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক করার জন্য ধোনিরা এখন সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবে।
আর একটা টিম যারা প্লে-অফে রীতিমতো চনমনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে তারা হল কেকেআর। টিমটা যথেষ্ট ব্যালান্সড আর এখনও পর্যন্ত বেশ ভাল ক্রিকেট খেলেছে। কিছু সমস্যা ওদের হয়েছিল ছিল ঠিকই, তবে এ ধরনের লম্বা টুর্নামেন্টে সেটা ঘটবেই। কিন্তু সব মিলিয়ে ওরা পরিস্থিতিগুলোকে দলগত ভাবে সুন্দর সামলেছে। আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে ওরা এ বারের আইপিএলের আর একটা বহু আলোচিত টিম দিল্লির বিরুদ্ধে খেলবে। আমি মনে করি, এই ম্যাচটার ভাগ্য এবং দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেবে ওই দিনটায় যারা চাপটাকে বেশি ভাল সামলাতে পারবে।
দিল্লি আর কলকাতা দুটো দলেই বেশ কিছু বড় নাম আছে। তবে আমার কাছে দুটো দলেরই আসল লোক হচ্ছে তাদের ক্যাপ্টেন। দিল্লি ইনিংস স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলে চলবে যতক্ষণ ক্রিজে সহবাগ থাকবে। এতে করে ওয়ার্নার, মাহেলা বা রস টেলরকে মোটেও ছোট করা হচ্ছে না। ওরাও যথেষ্ট দক্ষ ব্যাটসম্যান। কিন্তু সহবাগ ক্রিজে থাকা মানেই বিপক্ষের ওপর বাড়তি চাপ থাকা। সহবাগের ব্যাট যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচের রং পালটে দিতে পারে। অন্য দিকে গৌতম নিজের উইকেটকে মারাত্মক মূল্য দেয়। ক্রিজে পড়ে থেকে, ইনিংসটাকে গড়ে তুলে নিজের দলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কেকেআরের সব ম্যাচ লক্ষ করলে দেখবেন, যখনই গৌতমের ব্যাট চলেনি, ওর দলের ব্যাটিং সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে।
দু’দলের বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে, আইপিএলের সব দলের মধ্যে সেরা পেস অ্যাটাক দিল্লির। কিন্তু স্পিন বিভাগে ওদের সেই কামড় নেই। কেকেআরের আবার স্পিন কম্বিনেশনটা সেরা। যে কোনও প্রতিপক্ষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। সুনীল নারিন তার মধ্যে সবার সেরা। সব ম্যাচেই দারুণ করছে। কেকেআরের সাফল্যের সরণিতে নারিন শেষ পর্যন্ত একটা প্রধান ভূমিকা নিতে পারে।
আজকের প্লে-অফ ম্যাচটা এ বারের আইপিএলের দুটো সবচেয়ে গরমাগরম টিমের যুদ্ধ। পুণের উইকেট কিছুটা স্লো হয়ে গেছে। টানা এত ম্যাচ হওয়ার ধাক্কায়। পরে যারা ব্যাট করবে তাদের ইনিংসের ওপর পিচ কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে শেষমেশ ম্যাচের নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হতে চলেছে, এত গুরুত্বপূর্ণ খেলায় যারা স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। যারা সেটা বেশি ভাল পারবে, বিজয়ী হয়ে মাঠ ছাড়বে।
|
রয়্যালসে ভূমিকা নিয়ে দ্বিধায় দ্রাবিড়
সংবাদসংস্থা • জয়পুর |
রাজস্থান রয়্যালসে আগামী দিনে তাঁর ভূমিকা ঠিক কী হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় রাহুল দ্রাবিড়। আইপিএল ফাইভ থেকে ছিটকে গিয়েছে রাজস্থান। রাহুল আপাতত ছুটি নিচ্ছেন। তার পর ঠিক করবেন তাঁর ভূমিকা। “সত্যিই জানি না কী করব। এখন কয়েক দিন ছুটি। তার পর ভাবব। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। আমার লক্ষ্য একটাই। কী ভাবে তরুণ ক্রিকেটারদের তৈরি করা যায়,” বলেছেন দ্রাবিড়। যোগ করেছেন, “আমাদের অশোক মেনারিয়া, অজিত চান্ডিলা, অঙ্কিত চৌহ্বানদের মতো তরুণ প্রতিভা আছে। খারাপ লাগছে গজেন্দ্র সিংহর জন্য। স্থানীয় ছেলে হয়েও খেলার সুযোগ পেল না।” |