নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সাদা রঙের টাটা সুমো গাড়িটির সামনে ‘আর্মি’ স্টিকার সাঁটা। ওই গাড়িটি চড়েই গত বুধবার খড়দহের একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করেছিল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে ওই গাড়ির চালক এবং সাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার পরে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি সত্যিই এক সেনা অফিসারের!
পুলিশ জানায়, গাড়িটির মালিক সেনাবাহিনীর এক মেজর। কর্মসূত্রে তিনি দিল্লিতে থাকেন। গাড়িটি থাকে ব্যারাকপুরে তাঁর স্ত্রীর কাছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ডাকাতির উদ্দেশ্যেই গত ১৬ মে দুষ্কৃতীরা গাড়িটি ভাড়া করেছিল। সেনা আধিকারিকের স্ত্রীর হেফাজতেই গাড়িটি ছিল বলে আমরা জেনেছি। মাঝেমধ্যে তিনি গাড়িটি ভাড়া দিতেন।”
সেনা আধিকারিকের স্ত্রী কী ভাবে ‘আর্মি’ স্টিকার লাগানো গাড়ি ভাড়া খাটাতেন, উঠেছে সেই প্রশ্নও। রবিবার রাতে গাড়ির চালক টোটন আলি এবং দুই দুষ্কৃতী রাজু সাউ ও সঈদ আখতারকে টিটাগড় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে সোমবার ভোরে ব্যারাকপুর শিবতলা থেকে ধরা হয় সন্টুকুমার পাল নামে এক সোনার দোকানদারকে। সন্টুর কাছেই সোনা ও রুপোর গয়না বিক্রি করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়। তবে গয়নাগুলি পাওয়া যায়নি। গত ১৯ মে এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শেখ আলম ওরফে রকি নামে বছর উনিশের এক দুষ্কৃতীই ডাকাতির ছক কষেছিল। ডাকাতি সেরে ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তিনটি মোবাইল ছিনতাই করে। মোবাইলগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাই দুষ্কৃতীদের ধরাতে সাহায্য করেছে বলে পুলিশকর্তাদের দাবি। তাঁরা জানান, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরেই তদন্ত এগিয়েছে। |