নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের নতুন সরকারের বর্ষপূর্তিতে রবিবার সিঙ্গুরে তৃণমূলের মিছিলে বহু ‘অনিচ্ছুক’ চাষিকেই দেখা যায়নি। আর সোমবারেই সেখানকার ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকদের পরিবার-পিছু দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে মাসে আট কিলোগ্রাম চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খাদ্য দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সোমবার জানান। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে জমি নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত জমিহারা ও ভূমিহীন খেতমজুর মিলিয়ে মোট ৩৭৪৬টি পরিবারকে ওই চাল দেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, যে-সব পরিবারকে দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে চাল দেওয়া হবে, তারা গোপালনগর, বাজেমিলিয়া, বেড়াবেড়ি, খাসের ভেড়ি, সিঙ্গুর ভেড়ির বাসিন্দা। খাদ্য দফতর প্রতিটি পরিবারের জন্য বিশেষ কুপনের ব্যবস্থা করবে। কুপন দেখিয়ে ওই সব পরিবার একসঙ্গে এক মাসের ৮ কিলোগ্রাম চাল নিয়ে যেতে পারবে। কুপন তৈরির কাজ শেষ হলে চাল দেওয়া শুরু হবে। এ নিয়ে নির্দেশ গিয়েছে হুগলির জেলাশাসকের কাছে।
সস্তায় চাল দেওয়ার কথা আয়লা-বিধ্বস্ত দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনাতেও। কিন্তু ওই দুই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তা না-থাকায় সস্তায় চাল দেওয়ার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে এ দিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পে ওই দুই জেলায় প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি করবে পঞ্চায়েত দফতর। সুব্রতবাবু মহাকরণে জানান, খাদ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, রাস্তার অভাবেই আয়লা-বিধ্বস্ত এলাকায় সস্তার চাল ঠিকমতো পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই দ্রুত রাস্তা তৈরি করা দরকার। কোথায় কোথায় অবিলম্বে রাস্তা দরকার, খাদ্য দফতর তার একটি তালিকাও দিয়েছে। সেই তালিকা অনুসারেই রাস্তার কাজ করা হবে। |