নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া |
রাস্তা মেরামতির দাবিতে বিক্ষুব্ধ মানুষ পথ অবরোধ করলেন। পুড়শুড়া থেকে ডিহিভুরসুট পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা সারানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় মানুষ অবরোধ শুরু করেন আঁকড়ি গ্রাম-সংলগ্ন শেখপাড়ার ঢালে। আশপাশের ৪-৫টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে অবরোধে সামিল হয়েছেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত অবরোধ চলে। যার জেরে তারকেশ্বর থেকে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর-সহ স্থানীয় রুটের যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। গরমের দুপুরে চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোয়াতে হয় অসংখ্য মানুষকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে আসেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে রাস্তার সারানোর ব্যাপারে তাঁরা আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। পুড়শুড়ার বিডিও সম্রাট মণ্ডল বলেন, “পূর্ত (সড়ক) দফতরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, পুড়শুড়া থেকে ডিহিভুরসুট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি বছর ধরেক ধরে ভাল মতো সংস্কার হয়নি। রাস্তার গর্তে কেবলমাত্র মোরাম, বোল্ডার ফেলায় তা বার বার ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার আমূল সংস্কারের দাবিতে বছর দু’য়েক আগে স্থানীয় ফতেপুর, আঁকরি, শ্রীরামপুর, হেতমচক, শ্যামপুর প্রভৃতি ৮-১০টি গ্রামের মানুষ পথ অবরোধ করেছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সে সময়ে প্রশাসনের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। কাজ হয়েছিল বটে, কিন্তু তা কেবল জোড়াতালি দেওয়ার মতো। পাকাপাকি সংস্কারের দাবি মেটেনি। এ বার গ্রামের মানুষের বক্তব্য, দাবি পূরণ না হলে ‘তীব্রতর’ আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।
পূর্ত (সড়ক) দফতরের আরামবাগ মহকুমার সহকারী বাস্তুকার সৌম্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওখানে বড় কাজের দাবি। ছিল। সেই মতোই প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা অনুমোদন হয়। এর বেশি বরাদ্দ মেলেনি। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। বাকি শুধু টেন্ডার কমিটির অনুমোদন। তা পেয়ে গেলেই জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্ক অর্ডার দেবেন। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার উপরে নির্ভর করছে, কাজ বর্ষার আগে শুরু হবে, না পরে।” |