|
|
|
|
ফের বেনজির পতন টাকার |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
আবার নজির ভেঙে পতন টাকার। শুক্রবার ডলারে টাকার দাম ৫৪.৯১ ছুঁলেও পরে কিছুটা বেড়ে যায়। সোমবার নতুন সপ্তাহের শুরুতেই প্রতি ডলারের দাম ছাড়িয়ে গেল ৫৫ টাকা। টাকা ৬১ পয়সা পড়ায় দিনের শেষে ১ ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫৫.০৩ টাকা।
টাকার টানা পতনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শেয়ার বাজারে। ফলে এ দিন সকালে স্টেট ব্যাঙ্কের ভাল ফলাফলের রেশ থাকলেও বিকেলে তা ধরে রাখা যায়নি। সকালে প্রায় ১৪৬ পয়েন্ট বাড়লেও বিকেলে তার প্রায় সবটাই মুছে ফেলে সেনসেক্স বাড়ে মাত্র ৩০.৫১ পয়েন্ট। পতনে আরও ইন্ধন জোগায় মার্কিন আর্থিক সংস্থা মরগ্যান স্ট্যানলি-র ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কাটছাঁট করার খবর। ২০১২ সালের জন্য তা ৬.৯% থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৬.৩%। আর, ২০১৩-র ক্ষেত্রে তা ৭.৫% থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৬.৮ শতাংশে। ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়ে মরগ্যান স্ট্যানলি জানিয়েছে, চড়া রাজকোষ ঘাটতি সত্ত্বেও জোর দেওয়া হচ্ছে ভোগ্যপণ্যে খরচ বাড়ানোয়। অথচ কমছে শিল্পে লগ্নি। |
|
টাকার পতন ঠেকাতে সোমবার প্রত্যাশা সত্ত্বেও বাজারে হস্তক্ষেপ করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে স্থিতি ফেরাতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে বলে এ দিন ফের আশ্বাস দেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর সুবীর গোকর্ণ। টাকার দর যে ভাবে পড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে রবিবারই কলকাতায় ফের আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ইউরোপের পাশাপাশি ব্রাজিলের মতো কিছু উন্নয়নশীল দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার জেরেই এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুদ্রার দাম বাড়তে না দিয়ে তার বিনিময়মূল্য কার্যত বেঁধে রেখেছে ব্রাজিল। ফলে রফতানি ইত্যাদিতে ফায়দা লুটছে তারা। প্রণববাবু বলেন, “গোটা বিষয়টির উপরে নজর রাখছি। তবে কেন্দ্র চুপ করে বসে থাকবে না। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।”
প্রসঙ্গত, টাকার পতনের মূল কারণগুলির মধ্যে আাছে: আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়া, বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি ফিরিয়ে নেওয়া, নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে ডলারে আস্থা।
অন্য দিকে, ফেসবুক শেয়ারের দাম এ দিন পড়েছে প্রায় ১১%। ফলে ইস্যুর দাম ৩৮ ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে শেয়ার দর। শুক্রবার লেনদেন শুরুর দিনে সাড়া ফেলে দিলেও বাজার কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ায় হতাশ লগ্নিকারীরা। |
|
|
|
|
|