|
|
|
|
ম্যাকিনসের প্রাক্তন কর্তার বিচার শুরু |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
নিউ ইয়র্কের হেজ ফান্ড গ্যালিয়ন-কে বেআইনি ভাবে গোপন তথ্য জানানোর অভিযোগেই ম্যাকিনসের এই প্রাক্তন কর্ণধারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে মার্কিন আদালত।
অবশেষে বিচার শুরু হল রজত গুপ্তের। অবশ্য এই আইনি লড়াইয়ের আগে শীর্ষ ভারতীয় শিল্পপতিদের অনেককেই পাশে পাচ্ছেন রজতবাবু। এমনকী তাঁর সমর্থনে ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ অম্বানী, গোদরেজ গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্তা আদি গোদরেজ, আইটিসি-র চেয়ারম্যান যোগী দেবেশ্বর, ডিএলএফ চেয়ারম্যান কে পি সিংহ প্রমুখ। সাইটে মুকেশের দাবি, “গত দু’দশক ধরে রজতকে চেনার সূত্রে বলতে পারি যে, তাঁকে কখনও নিজের জন্য কিছু চাইতে দেখিনি। বরং ভাবতে দেখেছি দেশ ও দশের জন্য।” রজতবাবু সম্পর্কে অটুট আস্থার কথা জানয়েছেন আদি গোদরেজও। |
|
নিউ ইয়র্কের আদালতে। সোমবার। ছবি:এপি |
ভারত ও আমেরিকার কর্পোরেট জগৎ তো বটেই, এই মামলায় চোখ থাকবে সারা দুনিয়ারই। বাদানুবাদে মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফে, বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতা আর্সেলর-মিত্তলের কর্ণধার লক্ষ্মী মিত্তল-সহ বহু তাবড় নাম উঠে আসবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
রজতবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর কাছে পাওয়া গোপন তথ্য কাজে লাগিয়েই শেয়ার কেনা-বেচার মাধ্যমে বিপুল মুনাফা করেছে গ্যালিয়ন। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাক্সের পরিচালন পর্ষদে থাকাকালীন ওই সংস্থায় ওয়ারেন বাফের বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ৫০০ কোটি ডলার লগ্নির সিদ্ধান্ত গ্যালিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার শ্রীলঙ্কার রাজ রাজারত্নমকে আগাম জানিয়েছিলেন তিনি। আরএক বার জানিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের ত্রৈমাসিক ফলাফলও। প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের পরিচালন পর্ষদে থাকাকালীনও তিনি একই ‘অপরাধ’ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বেআইনি লেনদেনে অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে প্রায় এক বছর আগেই। যার জেরে গত অক্টোবরে ১১ বছরের জেল হয়েছে রাজারত্নমের। মামলায় প্রায় প্রতি দিনই উঠে এসেছে রজত গুপ্তের নাম। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তাঁরও।
অবশ্য রজতবাবুর আইনজীবীদের দাবি, অভিযোগ প্রমাণ হওয়া শক্ত। কারণ, রাজারত্নমের সঙ্গে টেলিফোনের কোনও কথোপকথন রেকর্ড করা নেই মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে। তা ছাড়া, এই অভিযোগ বার বার অস্বীকার করেছেন রজতবাবু নিজেও। জানিয়েছেন, রাজারত্নমের সঙ্গে যৌথ ভাবে লগ্নি করে বরং এক কোটি ডলার খুইয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|