তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের একাধিক নেতা-কর্মী। সোমবার মল্লারপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে তৃণমূলের এক কর্মিসভায় কংগ্রেস ছাড়েন ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, ওই ব্লকেরই মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান (যিনি ব্লক কংগ্রেস সভাপতিও) এবং জেলা পরিষদের সদস্য-সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
চন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, আগামী ২৯ মে নলহাটিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা এই নতুন সদস্যদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করা হবে। তার ক’দিন পরেই নলহাটিতে পুর-নির্বাচন। সেখানেই ওই অনুষ্ঠান করে পুরভোটের মুখে তৃণমূল রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। এ দিনের কর্মিসভায় নতুন সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের ওই দুই শীর্ষ নেতা। অনুব্রতবাবুর কটাক্ষ, “কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্যই আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় মল্লারপুরে কংগ্রেস বলে আর কিছু থাকল না।” নলহাটির কংগ্রেস বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এমন যে হবে, তা আমরা অনেক আগে থেকেই জানতাম। দল এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।”
ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তথা মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান ধীরেন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও কংগ্রেসের আরও ৫ পঞ্চায়েত সদস্য এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। একই ভাবে কংগ্রেস পরিচালিত ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কল্যাণী লেট ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসিতারঞ্জন সরকার-সহ সমিতির ৩ জন সদস্য এবং জেলা পরিষদ সদস্য দীপালি দত্তও কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এ ছাড়া কানাচি ও ঝিকড্ডা পঞ্চায়েত মিলিয়ে আরও ৭ জন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে গিয়েছেন।
ধীরেন্দ্রমোহনবাবুর দাবি, “কংগ্রেস দল এখন দুর্নীতিগ্রস্ত। তার উপর নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই দলবদল।” কংগ্রেস নেতৃত্বের পরিবর্তে জেলা তৃণমূল সভাপতি ও চন্দ্রনাথ সিংহ বিভিন্ন সময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও দলত্যাগী কংগ্রেস নেতারা এ দিন দাবি করেছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি অবশ্য বলেন, “সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। বিশদে না জেনে মন্তব্য করব না।” |