জেলার গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুদয়ন ৬০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। তিনি সোমবার সিউড়ি আবদারপুর সরকারি গেস্ট হাউসে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ঘণ্টা খানেক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, “বীরভূম জেলায় রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তা ১০০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে।”এ ছাড়া তিনি জানিয়েছেন, সাগরদিঘিতে আরও দু’টি ৫০০ মেগাওয়াট এবং ডিপিএলে (দুর্গাপুর) একটি ৩০০ মেগাওয়াট ইউনিট তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হলদিয়ায় বেসরকারি সংস্থা সিএসটি ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করছে। মনীষবাবু আরও বলেন, “বিদ্যুৎ ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু করার পর এ রাজ্যে এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হচ্ছে। যে সব রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি আছে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলি থেকে তাদের বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়লা যোগানের সমস্যা মিটে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। তবে তিনি কয়লার কোনও নির্ধারিত দাম না থাকাটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটা বড় সমস্যা হিসেবে মনে করেন। এ বিষয়ে মনীষবাবু তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করে দাবি করেন, “এই সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বার বসেছেন।” এ ছাড়া তিনি জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই থেকে কোনও শিল্প করা যায় কি না, তা নিয়ে রাজ্য সরকার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। এ দিনের বৈঠকে এ ধরনের শিল্প স্থাপনে আগ্রহী কয়েকজন শিল্পপতিকেও মণীশবাবু নিয়ে এসেছিলেন।
|
মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে নিঁখোজ হয়ে যাওয়া স্কুল ছাত্রীর খোঁজ মিলল দিল্লিতে। তাকে অপহরণের অভিযোগে সোমবার সরফরাজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের সাহায্যে সিউড়ি থানার পুলিশ দিল্লির শাস্ত্রীনগর এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ওই ছাত্রীকেও। সিউড়ি থানার আইসি মির জামির কাশেম বলেন, “আজ মঙ্গলবার দিল্লি আদালতে তোলা হবে এবং আদালতের কাছে ওই দু’জনকে সিউড়ি নিয়ে আসার জন্য আবেদন জানানো হবে।” প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন সিউড়ির একটি স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিল সদাইপুর থানার খোসবাসপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। ওই দিন রাতে সিউড়ি থানায় প্রথমে নিঁখোজ ডায়েরি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। পরদিন অপহরণের আভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ছাত্রীর বাবার দাবি ছিল, ২০ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। তারপর থেকেই তদন্ত নেমেছিল পুলিশ। |