|
|
|
|
উচ্ছেদে শ্রমিক সংগঠনকে সামিলের আবেদন খারিজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
ইসিএলের আবাসন থেকে বহিরাগত উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক সংগঠনগুলিকে সামিল করতে হবে, এই আবেদন খারিজ করল আদালত। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট একটি শ্রমিক সংগঠনের এই আর্জি খারিজ করেছে।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে আইনজীবী পার্থ ঘোষ ইসিএলের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইসিএল বিআইএফআর-এর অধীন। এই অবস্থায় ৭০ শতাংশ কর্মী আবাসনই বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে। অন্য দিকে, আবাসন দিতে না-পেরে ইসিএল প্রতি মাসে কর্মীদের বহু টাকা আবাসন ভাতা দিচ্ছে। একই সঙ্গে বহিরাগতদের দখলে চলে যাওয়া কর্মী আবাসনগুলিতে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষণে কোটি-কোটি টাকা খরচ করছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ইসিএলকে আবাসন থেকে দখলদার উচ্ছেদের ব্যাপারে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। ইসিএলের তরফে দাবি করা হয়, মাফিয়াদের দখলে থাকা কর্মী আবাসন তারা দখলমুক্ত করতে পারছে না। পুলিশও সাহায্য করছে না বলে জানানো হয়। ইসিএলকে সাহায্য করার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আইনজীবী পার্থবাবু জানান, জানুয়ারিতে হিন্দ মজদুর সভা অনুমোদিত ‘কোলিয়ার মজদুর কংগ্রেস’ হাইকোর্টে আবেদন করে, শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই বহিরাগত উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের দাবি, আবাসন কমিটিতে শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আবাসন বণ্টন করার সময়ে সংগঠনগুলির সক্রিয় ভূমিকা থাকে। তাই উচ্ছেদের সময়েও তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে গত ১১ মে হাইকোর্ট এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই জানিয়ে তা খারিজ করে দেয়। আদালতের তরফে জানানো হয়, আবাসন বণ্টন একটি বৈধ প্রক্রিয়া। কিন্তু যারা অবৈধ ভাবে আবাসন দখল করেছে, তাদের উচ্ছেদের ব্যাপারে শ্রমিক সংগঠনের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। আদালতের তরফে ইসিএলকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হিন্দ মজদুর সভার নেতা পরিমল মণ্ডল বলেন, “সংগঠনের তরফে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” |
|
|
|
|
|