|
|
|
|
চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রুট |
অটোচালকদের সঙ্গে বিবাদ, বন্ধ রইল বাস চলাচল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
অটো চালকদের সঙ্গে বাস কর্মীদের গণ্ডগোলের জেরে বাস বন্ধ হয়ে গেল চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রুটে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ওই রুটে বাস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অসুবিধায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। পুলিশ এবং বাস কর্মী সংগঠনের নেতারা মধ্যস্থতা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস কর্মীরা বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তাঁদের দাবি, অটো চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। অটো চালকদের অভিযোগ, তাঁদের এক সঙ্গী ওই দিন রূপনারায়ণপুর থেকে যাত্রী নিয়ে চিত্তরঞ্জন স্টেশনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ১ নম্বর গেটের কাছে বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন জন যাত্রী তাঁর অটোতে চাপেন। তখনই কয়েক জন বাসকর্মী ওই অটো চালককে যাত্রী নামিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু ওই অটো চালক তা করতে রাজি না হওয়ায় বাসকর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তখনকার মতো ওই অটো চালক সেখান থেকে চলে যান।
সোমবার সকালে রূপনারায়ণপুরের আপার কোশিয়া মোড় দিয়ে একটি মিনিবাস যাওয়ার সময়ে কয়েক জন অটো চালক বাসটিকে আটকায় এবং বাস কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরেই বাস কর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। রূপনারায়ণপুর ও চিত্তরঞ্জন এলাকা থেকে প্রচুর বাস আপার কোশিয়া মোড়ে চলে আসে। বিপাকে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। বাস ধরতে যাওয়া অফিস যাত্রীরা আর কোনও উপায় না পেয়ে চড়া ভাড়া দিয়ে অন্য যানবাহনে চেপে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হন। প্রখর রোদে অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বাড়ি ফিরে যেতেও বাধ্য হন বেশ কিছু যাত্রী।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাস চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। যান বাস কর্মী সংগঠনের নেতারা। উভয় পক্ষকে নিয়ে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে পুলিশ একটি বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, অটো চালক ও বাস কর্মীদের এই বিবাদ মেটানোর জন্য মহকুমাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও পরিবহণ আধিকারিকদের নিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে একটি বৈঠক ডেকে সমাধান করা হবে। আপাতত বাস কর্মীরা অবরোধ তুলে নেবেন ও বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।
কিন্তু পুলিশের সঙ্গে ইউনিয়ন নেতাদের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি বাসের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, অটো চালকরা মাঝে-মধ্যেই বাস কর্মীদের মারধর করে। পাঁচ দিনের মধ্যে আধিকারিকদের বৈঠক হওয়ার পরেই তাঁরা বাস চালাবেন বলে জানিয়ে দেন। বাস কর্মীদের এই অনড় মনোভাব সমর্থন করেননি ইউনিয়নের নেতারা।
সিটুর বাস কর্মী সংগঠনের সম্পাদক সুকান্ত দাস বলেন, “মারধরের ঘটনা অন্যায়। আলোচনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাস চলাচল শুরু হওয়া উচিত।” আইএনটিইউসি-র বাস কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বৈঠক করে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর পরেও বাস চলাচল না হলে মানুষ বিপদে পড়বেন। দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনায় বাস বন্ধ রাখা ঠিক নয়।”
এ দিন অবশ্য আর বাস চালাননি কর্মীরা। সংগঠনের নেতাদের আশ্বাস, কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শীঘ্রই সমাধানের রাস্তা বের করা হবে। |
|
|
|
|
|