মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতী অর্চনার বিরুদ্ধে এক মহিলা এনভিএফ কর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগে গত দু’দিন ধরে জলঘোলা হচ্ছিল। তার জেরে শনিবার তাঁর বাংলোয় এনভিএফ কর্মীদের পাঠানো হলে তিনি নিজেই তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ও দুপুরে ২ জন এনভিএফ কর্মীকে ‘ডিউটি’র জন্য পাঠানো হলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জেলাশাসক নিজে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এনভিএফের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জুরানচন্দ্র রায়ের দাবি, “সকাল ৭ টায় এক জন মহিলা এনভিএফ কর্মীকে জেলাশাসকের বাংলোতে ডিউটিতে পাঠানো হয়। জেলাশাসক তাঁকে দিয়ে কোন কাজ না করিয়ে সকাল সাড়ে সাতটায় ‘রিলিজ’ করে দেন। দুপুরেও একই ঘটনা, জেলাশাসকের বাংলোয় ডিউটিতে পাঠানো মহিলা এনভিএফ কর্মীকে ফিরিয়ে দেন তিনি।” পুলিশ জানায়, বিষয়টি তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছেন।
মঙ্গলবার পার্বতী হালদার নামে এক এনভিএফ কর্মীকে শৌচাগারে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। তাঁর ‘অপরাধ’ ছিল, ডিউটি করার সময়ে তিনি বাতানুকূল যন্ত্রের সুইচ খুঁজে পাননি। পরে প্রায় ঘণ্টা তিনেক পরে বাংলোর এক রাঁধুনি দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করে। অসুস্থ হয়ে ওই এনভিএফ কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও সাতদিন ছুটি নিয়েছেন। জেলাশাসক অবশ্য জানান, ওই মহিসাকে তিনি চেনেনই না। তাঁর বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শ্রীমতী অর্চনা। এ দিকে, এ দিন কোচবিহারে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় এ ব্যাপারে বলেন, “ওই ঘটনা সত্যি হলে তা গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবিকতা ও সার্ভিস রুল ক্ষুণ্ণ করেছে। আমাদের কাছে ওই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহিলা অভিযোগ করলে অবশ্যই তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।” |