কমিশনারেট তৈরির পরেও ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ছোটখাটো অপরাধ দমনে যে পুলিশ কার্যত ব্যর্থ, শুক্রবার ফের তার প্রমাণ মিলল। এ বার অটোয় চেপে বিয়েবাড়ি যাওয়ার সময় এক মহিলার গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘোলা থানার সি ব্লকের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম গোবিন্দ দাস ও বান্টি ঘোষ। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে ওই মহিলা তাদের পূর্ব পরিচিত। বেলঘড়িয়ার এডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “অভিযুক্তেরা অভিযোগকারিণীর পরিচিত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনাচক্রে শুক্রবার সকালেই ঘোলার নাটাগড়ে দু’টি মন্দির ও তিনটি বাড়িতে তিরিশ লক্ষ টাকার গয়না ও জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। আগে একই ভাবে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও মন্দিরে চুরি হয়। সেই ঘটনার কিনারা হয়নি। স্বভাবতই পুলিশি নজরদারির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। অনেক ক্ষেত্রে ঘোলা থানার আইসি ঘটনাস্থলে পর্যন্ত যান না বলে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। এক অভিযোগকারিণীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে কিছু দিন আগে ওই আইসিকে শো-কজও করা হয়। তারপরেও কাজে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে কমিশনারেটের কর্তারা। এডিসি বলেন, “ঘোলার সবকটি চুরি-ছিনতাইয়ের তদন্ত করে আইসিকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দিন চারেক আগে ব্যারাকপুরে একটি চোখের হাসপাতালের সামনে দুই মহিলার কাছ থেকে হার ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় এক দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে টিটাগড় থানার পুলিশ দু’টি হার-সহ ওই দুষ্কৃতীকে ধরে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠলেও পুলিশ সক্রিয় নয়। পুলিশের হিসেব, গত মার্চ মাসে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে চুরি, ছিনতাই, খুন, ডাকাতি-সহ বিভিন্ন অপরাধের ৫৯১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চুরির অভিযোগ ১১৯টি। |