নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া ও দুর্গাপুর |
পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীদের মারধর করা বা হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অব্যাহত। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পার্টি অফিসে হামলা ও প্রার্থী-নিগ্রহের অভিযোগ করে সিপিএম। দুর্গাপুরে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী বেণুগোপাল চক্রবর্তীকেও মারধর ও হুমকির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও দুই ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দিন দুই আগে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থীকেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এ দিন হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় সিপিএম অভিযোগ করে, শুক্রবার রাতে বাড়ঘাষিপুরে তাদের লোকাল অফিসে শেখ বাপি নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রেজিমেন্নেসা-সহ সবাইকে হিঁচড়ে বের করে তালা ঝোলানো হয়। থানায় জানালেও পুলিশ দেরিতে পৌঁছয় বলেও অভিযোগ সিপিএমের। হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তৃণমূল নেতৃত্ব সব অভিযোগ ‘মনগড়া’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
দুর্গাপুর থানায় অভিযোগে কংগ্রেস জানায়, শুক্রবার রাতে বেনাচিতির কাইজার গলিতে প্রচারে গিয়েছিলেন বেণুগোপালবাবু। সিপিএম-ঘনিষ্ঠ একটি ক্লাব ঘুরে তিনি তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ ক্লাবে গেলে সদস্যদের একাংশ তাঁর উপরে চড়াও হয়। তাদের দাবি, সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেণুবাবুরা তৃণমূলকে হারাতে মাঠে নেমেছেন। এই নিয়ে বচসা বাধলে কয়েক জন প্রার্থীকে মারধর করেন। কংগ্রেসের সমর্থনে এলাকায় দেওয়াল লিখলে বা প্রচার করলে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুদেব রায় বলেন, “গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের মতো প্রচার করে। এই ধরনের পরিস্থিতি কাম্য নয়।” তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, তৃণমূলের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নয়। তাঁর মতে, “কেউ তৃণমূলের নাম ব্যবহার করে কিছু ঘটালে দল দায়ী নয়।” আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনী আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” |