পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩ জনের, জখম ৭
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দক্ষিণবঙ্গে কয়েকটি পৃথক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ জনের। জখম হলেন ৭ জন। পুরুলিয়ার মফস্সল থানার জয়নগর গ্রামে শুক্রবার রাতে বরযাত্রীদের একটি বাস উল্টে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। জখম হয়েছেন চার জন। মৃতের নাম লালমোহন মাহাতো (৩৮)। হুড়া থানার মদনডি গ্রামে তাঁর বাড়ি। শনিবার সকালে রানিগঞ্জের গির্জাপাড়ায় রাস্তা পার হতে গিয়ে লরির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত কবীর মণ্ডলের (২৭) বাড়ি গির্জাপাড়ায়। প্রতিবাদে প্রায় দেড় ঘন্টা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কলিশ্বর গ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিন যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। চিকিৎসার জন্য তিন জনকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানেই হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা বাহাউদ্দিন হালদার (২৫) মারা যান। অন্য দু’জনকে পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ জেনেছে, বাহাউদ্দিনরা। দিঘা যাচ্ছিলেন তাঁরা। কাকভোরে রাস্তা ভুল করে পাঁশকুড়ার দিকে চলে যান। সে সময়েই কোনও ভারী গাড়ি তাঁদের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে বাঁকুড়ার ওন্দায় পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছেন এক ভ্যানচালক। মাথায় চোট থাকায় ভ্যানচালক রঘুনাথ বাড়ুইকে পরে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ-গাড়ির চালককে গ্রেফতারের দাবিতে কিছু ক্ষণ পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। বাঁকুড়ার এসপি মুকেশ কুমার বলেন, “ওই চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
|
অর্থ সঙ্কটে মমতার দিকে তাকিয়ে পঞ্জাব
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীগড় |
পশ্চিমবঙ্গের ঋণের বোঝা কমাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছ থেকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা আদায় করতে পারলে পঞ্জাবও বঞ্চিত হবে না বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। পশ্চিমবঙ্গের ঋণের সুদ ও আসল মেটানোর জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে তিন বছরের ছাড় চেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব মমতা। ঋণের ফাঁস থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পঞ্জাবও কেন্দ্রের কাছে প্রায় একই ধরনের সুবিধা দাবি করেছে। এ দিন সেই প্রসঙ্গ নিয়েই জয়রামের সঙ্গে কথা বলছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল। বস্তুত এ ব্যাপারে এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে পঞ্জাব। বাদলের প্রশ্নের সূত্রেই জয়রাম বলেন, “মমতা কেন্দ্রের থেকে মোরাটোরিয়াম আদায় করে নিতে পারলে পঞ্জাবও তা পেতে পারে।” সেই সঙ্গেই তাঁর সরস সংযোজন, “মমতার সাফল্যে আপনাদেরও সুবিধা হবে!” মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের ঋণের বোঝা কমাতে ঋণ ও সুদে ছাড় দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দফায় দফায় আর্জি জানিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, ঋণশোধ করতে গিয়ে টান পড়ছে উন্নয়নের অর্থে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে গোড়া থেকেই বলা হচ্ছে, এ ভাবে এক তরফা কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সাহায্য করা যায় না। চাপের মুখে দেশের সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত তিনটি রাজ্য পঞ্জাব, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক দুর্দশা কী ভাবে কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ব্যয়সচিব সুমিত বসুর নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দেয় কেন্দ্র। সেই কমিটির রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তার আগেই জয়রামের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
|
পুরভোটের গণনা পিছোন হোক, আর্জি বিমান বসুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের ছ’টি পুরসভার ভোট গণনার দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শনিবার নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর বক্তব্য, পুরভোটের ভোট গণনার সাত দিন পর দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন থাকায় পুরভোটের ফলের ‘প্রভাব’ সেখানে পড়তে পারে। তাই পুরসভার ভোট গণনার দিন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনার অবশ্য এ দিন ওই চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন। আগামী ৩ জুন দুর্গাপুর, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, ধূপগুড়ি, নলহাটি এবং কুপার্স ক্যাম্প এই ছ’টি পুরসভায় ভোট। ৫ জুন তার ফল প্রকাশের নির্ধারিত দিন। এর পর ১২ জুন দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র দাসপুর এবং বাঁকুড়ায় উপ নির্বাচন। বিমানবাবু চিঠিতে লিখেছেন, পাঁশকুড়া ও হলদিয়ার নিকটবর্তী কেন্দ্র দাসপুর এবং দুর্গাপুরের নিকটবর্তী কেন্দ্র বাঁকুড়া। সে ক্ষেত্রে ৫ জুন ঘোষিত ফলের প্রভাব ১২ তারিখের ভোটে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণেই তিনি পুরসভার ভোট গণনা ১২ জুনের পরে করার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন। শুক্রবার বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেও একই আর্জি জানিয়েছেন বলে বিমানবাবু চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মীরাদেবী বলেন, “শনিবার অফিস বন্ধ থাকে। ফলে ওঁরা চিঠি দিয়ে থাকলেও তা আমার হাতে আসেনি। চিঠি না-দেখে মন্তব্য করব না।”
|
স্বামীজিকে নিয়ে বেলুড়ে আলোচনাসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সার্ধশতবর্ষেও তিনি সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও বাণী আজও মানুষকে পথ চলার দিশা দেখায়। স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে শনিবার বেলুড় বিদ্যামন্দির আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বারবার ফিরে এল এ সব কথা।
শনিবার দিনভর বেলুড় বিদ্যামন্দিরের আশাজ্যোতি সভাগৃহে ‘স্বামী বিবেকানন্দ (১৫০ বছরের পরিপ্রেক্ষিতে)’ বিষয়ক একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির। অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষ সম্পর্কে বিবেকানন্দের বাণী, জীবন, দর্শন, চিঠিপত্র ও কর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী ত্যাগরূপানন্দ, ইউজিসি-র পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা রত্নাবলী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী, বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক, কর্মী-সহ অন্যান্য কলেজের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা। আলোচনা ছাড়াও কবিতা পাঠ, প্রশ্নোত্তর, গান ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছিল। |