পুণে ওয়ারিয়র্সে তাঁর ক্রিকেটার জীবনের পরিণতিতে হতাশ হয়ে না পড়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেন ক্রিকেটের বাইরে থেকে ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দেন। সুনীল গাওস্করের অন্তত এ রকমই মত।
শনিবার ইডেনে কমেন্ট্রি দেওয়ার আগে দুপুরের কাঠফাটা রোদ্দুরে শহরের পূর্ব থেকে দক্ষিণে ঘুরে ঘুরে গাওস্কর অর্থ সংগ্রহ করলেন দুঃস্থ প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের জন্য। নিজের সংস্থা ‘চ্যাম্পস ফাউন্ডেশন’-এর হয়ে। সল্ট লেক-এর এফ ডি ব্লক কমিউনিটি হলের রক্তদান শিবিরে গেলে সেখানেও ‘চ্যাম্পস ফাউন্ডেশন’-এর জন্য গাওস্করের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হয়। তার মাঝেই বেহালার একটি ক্লাবের পাঠাগারের উদ্যোগে বই বিতরণ করলেন দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে। সেই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকেরা গাওস্করকে পুণে ওয়ারিয়র্সে সৌরভের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে অনুরোধ করেন। সানি হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন, এ ব্যাপারে তিনি পুণে অধিনায়কের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু সৌরভ এ বার আর একটা আইপিএল না খেললেও তাঁর বিশাল ভাবমূর্তি একই রকম থাকত। কোনও ক্ষতি হত না।
|
রবিবারই পুণে ওয়ারিয়র্সের লড়াই রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে। জয়পুরে। যে ম্যাচে তিনি খেলবেন এবং পুণেকে নেতৃত্ব দেবেন বলে স্বয়ং সৌরভ দাবি করেছেন। সেই মহাপ্রতীক্ষিত ম্যাচের আগের দিন গাওস্কর বলেন, “আইপিএলের কাঠকাঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি দুনিয়ায় সব দলের মালিকই সব সময় সাফল্য চান। এটায় খারাপ কিছু নেই। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তো নিজের নিজের টিমের পিছনে প্রচুর টাকা ঢালেন। সাফল্য তো চাইবেনই। কিন্তু কোনও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি পাশাপাশি টিমের ক্রিকেটীয় ব্যাপারেও নাক গলান। কেউ কেউ আবার নাক গলানও না। যেমন আমি জানি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বা চেন্নাই সুপার কিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁদের টিমের ক্রিকেটের ব্যাপারে মাথা গলান না। আবার কোনও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রথম দিন থেকে তাঁর টিমের প্রথম এগারো কী হবে, এমনকী ব্যাটিং অর্ডার কী হবে তা নিয়েও মাথা ঘামান।”
সৌরভ কি এমনই ফ্র্যাঞ্চাইজির টিমকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের সুনাম বজায় রাখতে ব্যর্থ হলেন? গাওস্কর সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “সৌরভের নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু এই আইপিএলে ছিল না। এ বার না খেললেও ওর ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে যে বিশাল ভাবমূর্তি আছে তার বিন্দুমাত্র কোনও ক্ষতি হত না। বরং যে হেনস্তা হতে হল, সেটা হত না।” গাওস্কর চান, সৌরভ এখন ক্রিকেটের বাইরে থেকে ক্রিকেটকে কিছু দিন। “সৌরভের ক্রিকেটকে মাঠের বাইরে থেকেও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ও এখন ভারতীয় বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান। হয়তো ভবিষ্যতে আইসিসি-তেও যাবে। ফলে মাঠের মধ্যে না থেকেও সৌরভ ইচ্ছে করলে ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিতে পারে,” বললেন গাওস্কর।
|
ধোনিরাও শেষ চারের লড়াইয়ে
সংবাদসংস্থা • চেন্নাই |
বেন হিলফেনহসের অসাধারণ ওপেনিং স্পেল (৩-২৭)। সঙ্গে দলগত দুর্দান্ত ফিল্ডিং। তার পরে মাইক হাসি (৩৮)-মুরলী বিজয়ের (৪৮ নঃআঃ) চমৎকার ৭৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। তিনের দাপটে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-কে (২০ ওভারে ১১৪-৫) সহজেই ৯ উইকেটে হারিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস (১৫.২ ওভারে ১১৫-১) আইপিএল ফাইভের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকল। সহবাগের দিল্লির (১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট) শীর্ষস্থান না হারানোর চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ ধোনির চেন্নাইয়ের (১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট) পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে উঠে আসা।
চিপকে টস জিতে ধোনি আগে ফিল্ডিং নিলে প্রথম ওভারেই সহবাগের (৪) অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেন হিলফেনহস। তার পরে ফেরান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওয়ার্নার (৮) আর ফর্মে থাকা নমন ওঝাকে-ও (৩)। বিপজ্জনক জয়বর্ধনেকে (৮) আউট করেন মর্নি মর্কেল। ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই প্রায় নির্ধারিত হয়ে যায়। একটা সময় টানা ৩২ বলে একটাও বাউন্ডারি ছিল না দিল্লির। জবাবে হাসির আউটের পরে রায়নার ব্যাটও চওড়া হয়ে ওঠে চেন্নাই ইনিংসে। |