বদলের বাংলায় বিনিয়োগ স্বাগত। লগ্নির খোঁজে সিঙ্গাপুরে পা রেখে সেখানকার শিল্পপতিদের এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, শিল্পে বিনিয়োগের পথ
মসৃণ করতে যথাসম্ভব সহায়তায় তৈরি রাজ্য সরকার। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শিল্প-বান্ধব ভাবমূর্তি তৈরিতেও। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই এক গুচ্ছ পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। আগামী দিনে যার ফল হিসেবে ব্যবসা বা কাজ করার ক্ষেত্রে দেশে সেরা গন্তব্য হবে পশ্চিমবঙ্গই।
বিদেশের মাটিতে রাজ্যের বিনিয়োগ-বন্ধু মুখ তুলে ধরতে এই সফরে তৎপর শিল্পমহলও। |
বাংলায় বিনিয়োগ বাড়াতে সিঙ্গাপুরে এক সম্মেলনে
রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র |
বণিকসভা সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান আর কে অগ্রবাল বলেন, রাজ্য সরকার শুধু শিল্প-বান্ধবই নয়, দেশ-বিদেশের লগ্নি টানতেও এই প্রশাসন একই ভাবে তৎপর। বিপুল বাজার, কম খরচে দক্ষ কর্মীর জোগান, তুলনায় কম দুর্নীতি, অবস্থানগত সুবিধা ইত্যাদি বিষয়গুলিও আগামী দিনে রাজ্যে শিল্পায়নের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে তাঁর দাবি। শিল্প প্রতিনিধিদের সামনে বক্তৃতায় রাজ্যের অবস্থানগত সুবিধার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রীও। তাঁর মতে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার লোভনীয় বাজারের দরজা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। তিনি জানান, ব্যবসায় বিনিয়োগ যাতে নির্ঝঞ্ঝাট হয়, গত এক বছরে তার জন্য এক গুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সরকারি দফতরের থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র আদায়ের বিষয়টি সরল ও দ্রুত করতে চালু করা হয়েছে ‘এক জানালা’ পদ্ধতি। আর এই সব কিছুর সুবিধা নিয়ে আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তি, বস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং, পর্যটন, বায়োটেকনোলজি, ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি শিল্প ও পরিষেবায় লগ্নি করতে সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কলকাতাকে শীঘ্রই আর্থিক পরিষেবার প্রথম সারির কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরাকে পাখির চোখ করছে রাজ্য। জোর দিচ্ছে রাজ্যে পর্যটক টানতে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ার উপরেও।
প্রসঙ্গত, অনাবাসী ভারতীয় ও বিদেশি লগ্নিকারীদের সামনে বাংলাকে তুলে ধরতেই ১২ মে থেকে তিন দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে এসেছেন পার্থবাবু। নাম রাখা হয়েছে ‘বিউটিফুল বেঙ্গল’। সিআইআই এবং সিঙ্গাপুর-ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে সেখানে লগ্নির গন্তব্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গকে তুলে ধরাই তাঁর উদ্দেশ্য। |