বানতলায় এ বার নিজেদের স্বার্থরক্ষায় নিজেরাই সংগঠন তৈরি করছে হতাশ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।
দীর্ঘ দিন ধরেই সেক্টর ফাইভের নবদিগন্ত-র ধাঁচে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’ বা আলাদা কর্তৃপক্ষ গড়ার দাবি জানিয়ে আসছিল বানতলা বিশেষ আর্থিক অঞ্চল। যাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলাতে নির্ভর করা যায় সেই কর্তৃপক্ষের উপর। কিন্তু গত ৪ বছরে বিস্তর ফাইল চালাচালি সত্ত্বেও শিকে ছেঁড়েনি। তাই এ বার আর রাজ্যের মুখাপেক্ষী হয়ে না-থেকে, বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নিয়েছে সেখানকার তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। লগ্নি বাঁচাতে তারা নিজেরাই তৈরি করেছে পৃথক সংগঠন কলকাতা আইটি পার্ক অ্যাসোসিয়েশন। দূষণ ছড়ানো রুখতে ওই অঞ্চলে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তাবে তাদের উপরই।
বানতলায় ১২০ একর জুড়ে থাকা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প প্রকল্পের পাশেই রয়েছে চর্মনগরী। ফলে গোড়া থেকেই দূষণ সমস্যায় জেরবার এখানকার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশেষ আর্থিক অঞ্চল কলকাতা আইটি পার্ক। বছর খানেক আগে সমাধানসূত্র হিসেবে দু’দিকের বর্জ্য নিকাশি নালা পৃথক করা হয়। যাতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প প্রকল্পে চর্মনগরীর বর্জ্য না ঢোকে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত পাম্প চালানো জরুরি। প্রয়োজন পুরো প্রক্রিয়ার নিয়মমাফিক নজরদারিও। এ বার এই সমস্ত বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দেখাশোনার ভারই থাকবে সদ্য গঠিত সংগঠনটির উপর। এ বাবদ বছরে খরচ হবে ৫০ লক্ষ টাকা।
সেই ২০০৯ সাল থেকেই বানতলা চর্মনগরী এবং তার লাগোয়া তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের জন্য ‘অথরিটি’ গড়ার ভাবনাচিন্তার শুরু। মূল উদ্দেশ্য, অঞ্চলের বিভিন্ন কাজে (রাস্তা, আলো, জল থেকে শুরু করে কর্মীদের নিরাপত্তা) সমন্বয় আনতে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ তৈরি করা। ঠিক যেমন সেক্টর ফাইভে রয়েছে নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অথরিটি। কিন্তু তা না-হওয়ায় বানতলায় ১,১০০ একরের বিশেষ আর্থিক অঞ্চলে ওই সমস্ত নাগরিক পরিষেবার অভাব কাটেনি। স্বস্তি নেই নিরাপত্তা নিয়েও। আর এগুলিও ছাপিয়ে এখানকার সংস্থাগুলিকে সব থেকে বেশি তাড়া করে ফিরেছে দূষণ সমস্যা। তাই তার হাত থেকে বাঁচতে একজোটে কলকাতা আইটি পার্ক অ্যাসোসিয়েশন গড়েছে সংস্থাগুলি।
শিল্পমহলের অভিযোগ, বাম সরকারের আমল থেকেই কর্তৃপক্ষ গড়ার ফাইল আটকে রয়েছে লাল ফিতের ফাঁসে। নয়া সরকার আসার পরেও তা নড়েনি। এমনকী, পরিষেবা ঘাটতির কথা বিধানসভায় রিপোর্ট হিসেবে পেশ করার পরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই এ বার আর রাজ্যের ভরসায় না-থেকে লগ্নি সুরক্ষিত করার দায় নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছে তারা। |
ভারতে রিবকের আর্থিক অনিয়মের তদন্ত চায় অ্যাডিডাস
সংবাদসংস্থা • বার্লিন ও নয়াদিল্লি |
ভারতে নিজেদেরই শাখা সংস্থা রিবক ইন্ডিয়ার আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে আইন নির্বহণকারী সংস্থাগুলির সহায়তা চাইল অ্যাডিডাস। খেলার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী এই জার্মান বহুজাতিকের অভিযোগ, রিবকের ভারতীয় শাখায় প্রায় ৮৬২.৫ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।
যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় তারা। তবে ঠিক কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি সংস্থাটি। পাশাপাশি, ব্যবসা ঢেলে সাজতে ভারতে প্রায় ৩০০ রিবক বিপণি বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাডিডাস।
যদিও তাদের দাবি, এর সঙ্গে আর্থিক অনিয়মের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৫-এ বিশ্ব জুড়ে রিবক হাতে নেয় অ্যাডিডাস। শনিবার অবশ্য অ্যাডিডাসের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ভারতে সংস্থার প্রাক্তন এমডি সুভিন্দর সিংহ প্রেম। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে সরানোর। এর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন তিনি। তবে সংস্থার দাবি, নিজেই চাকরি ছেড়েছেন সুভিন্দর। |