কান্দির ডাকবাংলো বাজার নিষ্প্রদীপ। বাজারের প্রায় শ’তিনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, আলো না থাকায় এক বেলার বাজারই উঠে যেতে বসেছে।
পঞ্চায়েত সমিতি পর্যন্ত দৌড়েও এ ব্যাপারে যে কোনও সুরাহা হয়নি তা দেখাই যাচ্ছে। তবে আলোর পাশাপাশি ওই বাজারে নেই-এর তালিকায় রয়েছে পানীয় জল, শৌচাগার, নিকাশি ব্যবস্থাও। বাজারে চারটে নলকূপ রয়েছে বটে। তবে সেই জল মুখে তোলা যায় না। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি রয়েছে বটে, তবে ওই আশ্বাসই সার। ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও বড়ঞা, পাঁচথুপি, সুন্দরপুর, রামনগর-সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ নিত্য দিন ওই বাজারেই কেনাকাটা করেন। অথচ তাদের জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুুও করেনি প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, বছর দুয়েক আগে সৌর শক্তিতে জ্বলবে এমন দশটি পথবাতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল বটে। কিন্তু দেখভালের অভাবে তা অকেজো হয়ে পড়তে সময় লাগেনি।
ডাকবাংলো বাজারের পাশ দিয়েই বহরমপুর-সাঁইথিয়া রুটের বাস চলাচল করে। কাটোয়া, লালগোলা, জঙ্গিপুর, কলকাতা যাওয়ার বাসও চলে ওই রাস্তায়। তবে এত দিনেও ওই এলাকায় কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়নি। রাস্তার পাশে রিকশা, ট্রেকার, ভ্যান, লছিমন সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে দিন ভর। ফলে যানজটও লেগেই থাকে।
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলে কাদের বলেন, “বাজারের হাল ফেরাতে আমরা বহুবার পঞ্চায়েত সমিতির কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।”
ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “জায়গার সমস্যার জন্য এত দিন কিছু করা যায়নি। পানীয় জলের রিজার্ভার ও শৌচাগার তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।” এমনই অজস্র আশ্বাসেই বেঁচে রয়েছে ওই বাজার। |