বেহাল রাস্তায় ক্ষোভ বাড়ছে |
প্রতিশ্রুতিই সার, কাজ হয়নি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
পূর্ত দফতরের লিখিত আশ্বাসের পরেও শামুকতলা থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার বেহাল রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, ওই রাস্তাটি একেবারেই খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। গত মাসে বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে পথ অবরোধ করা হয়। সেই সময় পূর্ত দফতরের সহকারি বাস্তুকার তাপস সাহা ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তার মেরামতির কাজ শুরু করবার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরেও কাজ শুরু হয়নি। উল্টে রাস্তাটি দিনের পর দিন আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বাপি দাস বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।” |
আলিপুরদুয়ার অটোমালিক-ড্রাইভার ইউনিয়নের সম্পাদক বিজয় দেবনাথ বলেন, “রাস্তাটি চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হয়েছিলাম। এর পর গর্তগুলি বুজিয়ে সামান্য মেরামত করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশ্বাসের এক মাস পার হলেও গেলেও আলিপুরদুয়ার মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগের এটাই একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তার উপর ১১টি চা বাগান, ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ নিভর্রশীল। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বিডিও সৌমেন মাইতি বলেন, “বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানানোর পর শীঘ্র মেরামত করা হবে বলে দফতরের অফিসারেরা জানিয়েছেন। রাস্তাটি বেহাল হওয়ায় বাসিন্দাদের সমস্যা পড়তে হচ্ছে ঠিকই। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” পূর্ত দফতরের সহকারি বাস্তুকার তাপস সাহা বলেন, “রাস্তা মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।” |