টুকরো খবর
দফতরে ভাঙচুর, বিক্ষোভ
ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চোপড়ার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এলেও গেন্দাবাড়ি, সহদেবগছ ও পাকুড়তলা গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই তিন গ্রামের বাসিন্দারা চোপড়ায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বন্টন বিভাগের স্টেশন সুপারিন্টেডেন্টের চালালেন। সোমবার দুপুরে ওই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত বাসিন্দারা দফতরের জানালা, টেবিলের কাচ ভেঙে চেয়ার উল্টে দেন। গোও করে রাখেন দফতরের কর্মীদের। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যান। চোপড়ার স্টেশন সুপারিন্টেডেন্ট হরিধন দাস বলেন, “ওই এলাকার একটি গ্রামে রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ঝড়ে ভেঙে পড়া খুঁটি মেরামত করতে দিচ্ছেন না।’’ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ পর্ষদের পক্ষ থেকে চোপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, দু’সপ্তাহ ধরে তিনটি এলাকায় ট্রান্সফরমার বিকল থাকায় বোরো চাষের সেচ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে গিয়েছেন মালদহের রতুয়ার সামসি এলাকার কয়েকশো চাষি। সোমবার বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মালদহের রতুয়ার সামসি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দফতরে ঘটনাটি ঘটে। দফতরের কর্তাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

তলিয়ে মৃত্যু শিশু ও বধূর
পুকুরে ডুবতে থাকা এক বালিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক গৃহবধূ। শেষপর্যন্ত জলে ডুবে মৃত্যু হয় ২ জনের। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি এলাকার পালসা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম বাণী রায় (৮) এবং মিলিনা বিবি (২১)। দু’জনেই একই গ্রামের বাসিন্দা। বাণী স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। বাবার বাড়িতেই থাকতেন মিলিনা। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ২ টা নাগাদ সহপাঠি ঈশিতা, দোলন সরকারের সঙ্গে তালপুকুরে স্নান করতে যায় বাণী। সেই সময় সে গভীর জলে পড়ে ডুবতে থাকে। পুকুরের ঘাটে কাজ করছিলেন ওই গৃহবধূ। বালিকাকে ডুবতে দেখে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে জাপটে ধরে ডুবন্ত বালিকা। কিন্তু শাড়িতে পা জড়িয়ে যাওয়ায় দুজনেই ডুবতে থাকেন। অন্য বালিকাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে যাওয়ার আগে তাঁরা তলিয়ে যায়। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে জেলেরা পুকুরে নেমে ওই দুজনের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পড়ুয়াদের মার
শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে এসে পড়ুয়ারা দেখে ক্লাস ঘরের তালা বন্ধ। শিক্ষিকারাও কেউ আসেননি। বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন ক্লাসঘরের চাবি আনতে প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে যায়। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফিরে এসে তারা দেখে অন্য এক শিক্ষিকা ক্লাসঘর খুলেছেন। শুরু হয় জিজ্ঞসাবাদ। প্রধান শিক্ষিকার বাড়ি চাবি আনতে যাওয়ার কথা জানতে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সাত জনকে ওই শিক্ষিকা মারধর করেন বলে অভিযোগ। চার জনকে জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিসা করানো হয়। এই অভিযোগে সোমবার ক্ষুব্ধ অভিভাবক খাগরবাড়ি এলাকার শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রশাসনের তরফে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেবার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কোচবিহার-২ বিডিও মোনালিসা মাইতি বলেন, “তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” কোচবিহারের ডিআই (প্রাথমিক) সুশান্ত পান্ডা অবশ্য বলেন, “ওই ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। এসএসকে গুলি ব্লক প্রশাসনই দেখে।” পশ্চিম খাগরাবাড়ি এলাকার রমেশ স্মৃতি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে প্রধান শিক্ষিকা সহ তিনজন শিক্ষিকা আছেন। মাঝেমধ্যেই তাঁরা সময়মত শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে আসেন না। শিক্ষিকাদের বাড়িতে গিয়ে অনেক সময় ক্লাসঘরের চাবি নিয়ে আসতে হয় পড়ুয়াদের। বাসিন্দারা জানান, কেন্দ্রের চাবি আনতে যাওয়ার জন্য এমন শাস্তি মেনে নেওয়া যায় না। দিদিমণিরা শাসন করতে পারেন। কিন্তু মারধর করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। মারধরের জেরে এক ছাত্রীর পিঠে দাগ হয়ে গিয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সেই শিক্ষিকা মঞ্জু ধর বলেন, “আমি ১১টা মধ্যেই শিক্ষা কেন্দ্রে যাই। বেলা ১২টা নাগাদ কয়েকজন পড়ুয়া আচমকা স্কুলে আসে। সেইজন্য ওদের সামান্য শাসন করেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.