উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’কে হারিয়ে বোর্ড দখল করল সিটু ও আইএনটিইউসি জোট। রবিবার সোসাইটির নির্বাচনে ৯ টি আসনের মধ্যে ৬টিতে সিটু ও ৩টিতে আইএনটিইউসি প্রার্থীরা জয়ী হন। ৯ টি আসনে প্রার্থী দিয়েও একটি আসনেও জিততে পারেনি আইএনটিটিইউসির প্রার্থীরা। সিটু’র মালদহ জেলা সহ সভাপতি ইন্দ্রজিৎ মিত্র বলেন, “সোসাইটি নির্বাচনে কোনও রাজনীতি দেখে হয় না। যারা দুর্নীতিমুক্তভাবে সোসাইটি চালাতে পারবে ও কর্মচারী স্বার্থ রক্ষা করবে তাঁদেরকে সমর্থন করে জেতানো হয়েছে।” আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন আন্দোলনে আমরা সিটুর সঙ্গে লড়াই করছি ঠিকই কিন্তু এখানে আমরা ৩ প্রার্থী দিয়েছিলাম। আমাদের তিন জন প্রার্থীই জিতেছে।” এক জন প্রার্থীও না জেতায় অস্বস্তিতে আইএনটিটিইউসি। জেলা সভাপতি মানব বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি ঘুঘুর বাসা। এত দিন বেআইনি ভাবে গাড়ি কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে সিটু ও আইএনটিইউসির নেতারা যুক্ত। এত দিন আমাদের ইউনিয়ন ছিল না। আমরা সেই চক্র ভাঙতে চেয়েছিলাম। ওই অশুভ আঁতাত সবাইকে ভয় দেখিয়ে জিতেছে।” আইএনটিইউসি ও সিটু’র বক্তব্য, ভোটে হেরে অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। তারা দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ কেন দিতে পারছে না সে প্রশ্ন উঠেছে। এনবিএসটিসি মালদহ ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, এমপ্লয়িজ সোসাইটিতে ৯টি আসন। সোসাইটি নিবার্চনে সিটু ও আইএনটিইউসি বোঝাপড়ায় আসন ভাগাভাগি করে দখলে রেখেছিল। ভোটার ২০৭ জন। রবিবার সিটুর পক্ষে ৬ আইএটিইউসির ৩ জন একই প্যানেলে দাঁড়ান। পাল্টা আইএনটিটিইউসির ৯ প্রার্থী দাঁড়ান। সিটু ও আইএনটিইউসি’র যৌথ প্যানেলের সর্বোচ্চ ১৫৬টি ভোট পেয়েছে। আইএনটিটিইউসির সর্বোচ্চ ভোট ৬২। |