চোপড়ার একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তদের অধিকাংশ অধরা থাকায় উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্য থেকে স্কুলের শিক্ষিকা-ছাত্রীরা। বুধবার স্থানীয় কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তারা স্কুলে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিন মহিলা, শিশু সুরক্ষা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজে রত দুর্গাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দলও ছাত্রীর স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকা, ধর্ষিতা ছাত্রীর পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা সাহা বলেন, “অভিযুক্তদের ২ জনকে ধরা হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাতে আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কে রয়েছি। জেলা প্রশাসন থেকে পুলিশ, জনপ্রতিনিধিদের কাছেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুর্গাবাহিনীর প্রতিনিধিরাও। ছাত্রীর পরিবারের লোকেরাও আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। অভিযোগ, অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তৎপর নয়। ঘটনার সময় দুষ্কৃতীরা যে ছোটগাড়িটি ব্যবহার করেছিল সেটিও পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে দুর্গা বাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা বরুণ ভৌমিক বলেন, “ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আমরা তাদের সমস্ত রকম সাহায্য করব। যে ক্লাবগুলি ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।” ক্লাব কর্তৃপক্ষের একাংশ এ দিন জানিয়েছেন, ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ দ্রুত না ধরলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন। স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার ছেলে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হওয়ায় পুলিশের একাংশ বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। |