১০০ দিনের কাজে জেলা প্রশাসনের সাফল্য পেয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। এই খবর পেয়ে সোমবার বিহারের কাটিহার জেলার নয়টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মালদহ পৌঁছেছেন। আগামী ৫ দিন তাঁরা জেলার বিভিন্ন ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত ঘুরে ১০০ দিনের কাজ দেখবেন। মালদহ জেলা প্রশাসনের দাবি, গত চার মাসে ১০০ দিনের কাজে মালদহ জেলায় প্রায় ৮২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার ফলস্বরূপ চলতি আর্থিক বছরে ১৭ তম স্থান থেকে মালদহ ১০০ দিনের কাজের খতিয়ানে রাজ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “কী ভাবে ১০০ দিনের কাজের এত দ্রুত সাফল্য এসেছে তা হাতে কলমে দেখতে বিহারের প্রতিনিধিরা মালদহে সেছেন। তাঁদের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ে গিয়ে ১০০ দিনের কাজ দেখানো হবে। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গেও বিহারের প্রতিনিধিরা কথা বলবেন।” বিহারের কাটিহার জেলার জেলাশাসক শ্রীমতি অশ্বিনী দত্ত ঠাকুর বলেন, “আমাদের জেলায় ১০০ দিনের কাজ করতে নানা বাধা আসছে। এলাকার মানুষ ও পঞ্চায়েতকে ১০০ দিনের কাজে নামানো যাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় ওই কাজের সাফল্যের কথা শোনার পর তা খতিয়ে দেখতে কাটিহার থেকে ৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পঞ্চায়েত অধিকারিককে মালদহে পাঠানো হয়েছে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজে জেলার ১৫ টি ব্লকে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এর পরই জেলাশাসক ১০০ দিনের কাজের গতি বাড়াতে জেলার সমস্ত ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিদের ডেকে প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেন। পাশাপাশি জেলার ১৪৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকার ১০০ দিনের কাজ করতে হবে বলে নিদের্শ দেন। বন্যা ও ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা ১০০ দিনের প্রকল্পে বন্যা ও ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ করে। নদী ও খাড়ি খনন করা হয়। ১০০ দিনের কাজে কালিন্দ্রী, পুনর্ভবা, বেহুলা, ব্রাহ্মণী, হাড়িয়া খননের কাজে প্রচুর মানুষ কাজ হয়। বামনগোলাতেই ব্রাহ্মনী নদীর খননে ৯০০ গ্রামবাসী কাজ করেন। হবিবপুরের আকতৈল ও বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুইটি খাড়ি খননে ১৩০০ গ্রামবাসী কাজ করেছেন। এতে সব মিলিয়ে গত ৪ মাসে ওই প্রকল্পে ৮২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মালদহের জেলাশাসক জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে খরচের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। |