ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের পলাতক তিন ডিরেক্টরের অন্যতম প্রীতি সুরেখার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি সোমবার শেষ হয়নি। কাল, বুধবার ফের শুনানি হবে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং আলিপুর আদালত ইতিমধ্যেই ধৃত আমরি-কর্তাদের মুক্তি দিয়েছে। তবে অভিযুক্ত তিন কর্তা আদিত্য অগ্রবাল, রাহুল তোদি ও প্রীতি সুরেখাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। গা-ঢাকা দেওয়া অবস্থায় ওই তিন কর্তা আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে আমরি হাসপাতালে আগুন লেগে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। তার পর থেকেই প্রীতি সুরেখা-সহ তিন আমরি-কর্তার খোঁজ নেই। আড়ালে থেকেই প্রীতিদেবী আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ দিন শুনানির সময় প্রীতিদেবীর আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বলেন, আবেদনকারিণী ইমামি সংস্থার ‘নমিনি’ বা প্রতিনিধি হিসেবে আমরি হাসপাতালের ডিরেক্টর ছিলেন। তবে আমরির যে-ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে, তিনি তার সদস্য নন। হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজকর্মে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। আমরির ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। মুক্তি দিয়েছে ধৃত অন্য কর্তাদেরও। এই অবস্থায় প্রীতি সুরেখার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার কোনও কারণ নেই বলে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, হাইকোর্ট যে-যুক্তিতে আমরির অন্য কর্তাদের জামিন দিয়েছে, প্রীতি সুরেখা সেই যুক্তিতেই আগাম জামিন পেতে পারেন। এ দিন আদালতের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় শুনানি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় বুধবার সওয়াল করবেন বলে জানান। |