অতিরিক্ত টেবিল-বেঞ্চ বসিয়েও সমস্ত পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করা যায়নি। ১২৬ জন বিএ প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থীকে কোথায় বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে পরিচালন সমিতির সদস্যরা। শেষে সমস্যা মেটাতে বাঁশ পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করে পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজে। কলেজের বিএ পার্ট-১ ও পাট-২-র পরীক্ষা পরীক্ষা দিচ্ছেন ১৬২১ ছাত্রছাত্রী। এ বছর বি এ প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী ১৫৬১ জন। ক্লাস রুম রয়েছে ২২টি। প্রতি বেঞ্চে তিন জন করে পরীক্ষার্থী বসিয়েও সমস্ত ছাত্রছাত্রীর বসার ব্যবস্থা করা যায়নি। পরীক্ষার্থীর জন্য কলেজের মাঠে অস্থায়ী শেড বানাতে বাধ্য হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষরকে। ১২৬ পরীক্ষার্থীকে অস্থায়ী শেডের নীচে বসে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। সোমবার কলেজের মাঠের অস্থায়ী শেড বানিয়ে বিএ পার্ট ওয়ানের ইতিহাস পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও গরমে নাজেহাল হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল কাদের সাফেলি বলেন, “ওই ১২৬ পরীক্ষার্থীর জন্য কোনও স্কুল ঘরে ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত প্রশাসনিক সমস্যার জন্য তা হয়নি। বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে অস্থায়ী শেড তৈরি করতে হয়েছে।’’ |
অধ্যক্ষ জানান, এ বছর ছয়টি ক্লাসঘর বেড়েছে। তবুও সব পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করা যায়নি। গত বছর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ঘরের সমস্যা মেটাতে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা মেলেনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইতিহাস তিনটি পরীক্ষা এবং ঐচ্ছিক বাংলার ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার্থীদের শেডে বসতে হবে। বাকিক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি অশ্বিণী কুমার রায় বলেন, “পরবর্তীতে যাতে এই সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।” ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জলধর রায় ও পিঙ্কি রায় বলেন, “শেডে পরীক্ষা দিতে সমস্যা হচ্ছে। হাঁসফাস করতে হচ্ছে। পরীক্ষার সময় ঝড়-বৃষ্টি নামলে সমস্যায় পড়তে হবে।” বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্র সংগঠনগুলি। এসএফআই এর জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি জীবন সরকার বলেন, “ক্লাসঘরের সমস্যা মেটানোর দাবি জানাচ্ছি। এই ভাবে পরীক্ষা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা রবিন মালাকার বলেন, “এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছি।” |