ডুয়ার্স ও তারাই এলাকার কিছু মৌজা জিটিএ ভুক্ত করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছে কামতাপুর পিপলস পার্টি (কেপিপি)। দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফে আগামী ১৪ মে ডুয়ার্স এলাকায় পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল, সভা ও সমাবেশ করার জন্য গ্রামে প্রচার শুরু হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল রায় বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবরোধ আন্দোলন চলবে। এর পরে বিভিন্ন স্তরে আন্দোলন শুরু হবে।” ডুয়ার্স জুড়ে লাগাতর আন্দোলন গড়ে তেলার জন্য ইতিমধ্যে চা বাগান এলাকার আদিবাসী সংগঠন সহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন কেপিপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ অবহেলা ও বঞ্চনার ফলে চা শ্রমিক মহলে বেড়ে চলা ক্ষোভকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। এর ফলে যে সংহতির পরিবেশ ডুয়ার্স ও তরাই এলাকায় ছিল সেটা নষ্ট হতে বসেছে। গৃহযুদ্ধের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিখিলবাবু বলেন, “চা বাগান এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁদের বেশিরভাগ ডুয়ার্স এলাকাকে জিটিএ-ভুক্ত করার বিরুদ্ধে। সেখানকার কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করার প্রস্তুতিও চলছে।” কেপিপি-র তরফে ডুয়ার্স ও তরাই এলাকার কিছু মৌজাকে জিটিএ ভুক্ত করার বিরোধিতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি তোলা হয়েছে। পথ অবরোধের পরে ওই দাবিতে লাগাতর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। তৃণমূল স্তর থেকে ফের ওই আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ময়নাগুড়ি সহ জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে বুথ কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা কমিটিকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। কেপিপি-র নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন কমল রায় এবং সম্পাদক দীপক রায়।
|
ধর্মঘট, বন্ধের আওতা থেকে পর্যটন শিল্পকে বাদ রাখতে কনভেনশনের ডাক দিল ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন। আজ, মঙ্গলবার সকাল শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনীতে ওই কনভেনশন হবে। সেখানে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সিকিম, দার্জিলিং পাহাড় ছাড়াও তরাই-ডুয়ার্সের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। কনভেনশনের পরে ওই দাবিতে শহরে একটি র্যালিও করা হবে। সংগঠনের সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, “উত্তরবঙ্গে চা শিল্প ছাড়া সবচেয়ে বড় শিল্প হল পর্যটন শিল্প। সিকিমকেও এই সার্কিটের মধ্যে ধরা হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গত কয়েক বছর বন্ধ, ধর্মঘটের জেরে পর্যটন শিল্প প্রচণ্ডভাবে মার খাচ্ছে। পর্যটকদের নান সময়ে সমস্যা পড়তে হচ্ছে।” তিনি জানান, সমস্ত রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক দলের কাছে ইতিমধ্যে আমরা পর্যটনকে বন্ধের আওতার বাইরে রাখার আবেদন করেছি। এবার দাবিতে জোরদার জনমত গড়ে তুলতে কনভেনশন করা হচ্ছে। কনভেনশনে হোটেল, পরিবহণ, ট্যুরিস্ট গাউড-সহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই উপস্থিত থাকবেন। সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও আমাদের প্রয়োজন। কনভেনশন থেকে আগামী দিনে আমরা কী কী কর্মসূচি নেব তা ঠিক করব। ইতিমধ্যে ‘ট্যুরিজম ফর পিস অ্যান্ড হারমনি’ শীর্ষক একটি প্রচারও শুরু করা হয়েছে।
|
নিজের বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু হল এক ইএফআর জওয়ানের। তাঁর নাম সন্দীপ থাপা (৪২)। বাড়ি দার্জিলিংয়ে। তিনি পুরুলিয়ার টামনা পুলিশ ফাঁড়িতে ইএফআর-১ নম্বর ব্যাটেলিয়নে ছিলেন। সোমবার রাতে এলাকা টহল দিতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কাঁটাডির কাছে গাড়িতেই তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পান সহকর্মীরা। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। |