এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগে ধৃত বাঁকুড়ার তালড্যাংরার সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১০-এর ২৯ জুন তালড্যাংরা থানার রাজপুর গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত হন প্রৌঢ় তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ। ওই ঘটনায় সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন পাত্র-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে। এর আগে হাইকোর্টে ও নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই সিপিএম বিধায়ক। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন।
সোমবার জামিনের আবেদন জানিয়ে মনোরঞ্জনবাবুর আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, “এই মামলায় অন্য অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই জেলা আদালত জামিনে মুক্তি দিয়েছে। একমাত্র মনোরঞ্জনবাবুই জামিন পাননি। অথচ ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত আমার মক্কেল বিধানসভায় ছিলেন।” ২০১০ সালের ওই ঘটনার দু’জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে ২০১২ সালে। প্রায় দু’বছর পরে সাক্ষীদের ঘটনার দিনের কথা মনে রাখা সম্ভব কি না, ডিভিশন বেঞ্চের সামনে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মনোরঞ্জনবাবুর আইনজীবী। সরকার পক্ষ জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে। কিন্তু, বাকি অভিযুক্তের জামিনে মুক্তি এবং বিধায়কের ৬৬ দিন জেল হেফাজতে থাকা, এই দুটি বিষয় বিবেচনা করে ডিভিশন বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্রের প্রতিক্রিয়া, “অনেক আগেই মনোরঞ্জনবাবুর জামিন পাওয়া উচিত ছিল। তাঁর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। দোষীরা সাজা পাক, এটাই আমরা চাই।” |