|
|
|
|
ইটভাটা শ্রমিকদের দলে টানতে তৎপর তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এতদিন ইটভাটা শ্রমিকেরা ছিলেন সিটুর ছত্রছায়ায়। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে তাঁদের এ বার নিজেদের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। ইটভাটা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের পথেই হাঁটছে রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যে কিছু শ্রমিককে নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ইট ভাটা শ্রমিকদের মজুরি সে অর্থে বাড়েনি। প্রভিডেন্ট ফান্ডও নেই। আমরা সরকারি হারে মজুরি দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ড তৈরির দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে প্রচুর ইটভাটা রয়েছে। সবং ব্লকেই ইটভাটার সংখ্যা তিনশোর বেশি। মেদিনীপুর সদর ব্লক, ডেবরা, খড়্গপুর-সহ সর্বত্রই কিছু কিছু ইটভাটা রয়েছে। শ্রমিকের সংখ্যাও অনেক। শ্রমিকদের নানা ভাগও রয়েছে। কেউ মাটি তোলেন, কেউ ইট তৈরি করেন, কেউ ইট সাজান, কেউ পোড়ানোর কাজ করেন, কেউ মাথায় করে ইট বয়ে নিয়ে যান। বিভিন্ন শ্রমিকদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন মজুরি। ভাটায় শিশুশ্রমিকের অভিযোগও রয়েছে। আর রয়েছে সার্বিক ভাবে বঞ্চনার অভিযোগ। তৃণমূলের মতে, আগেও মজুরি বৃদ্ধির জন্য ভাটা শ্রমিকেরা একাধিক বার সরব হয়েছেন। কিন্তু বাম সরকার উদ্যোগী হয়নি। এ বার তাই মজুরি বৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা-সহ ভাটা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামতে চাইছে তৃণমূল। এর মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে দলীয় সংগঠন বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের কথায়, “অসংগঠিত ক্ষেত্রে যত শ্রমিক রয়েছে সকলের জন্যই আমরা লড়াই করব।” তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রতিটি ভাটায় একটি করে ইউনিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে পাশাপাশি একাধিক ভাটা রয়েছে, সেখানে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া, তাঁদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেতা বা নেত্রী তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ভাবেই ব্লক থেকে জেলাস্তরে কমিটি তৈরি করা হবে। |
|
|
|
|
|