|
|
|
|
মোহনবাগান তাঁবু নিঃশব্দে ঘুরে গেলেন সবুজ তোতা |
ব্যারেটোর সম্মান তিনি কেন পেলেন না, প্রশ্ন তুললেন চিমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হোসে ব্যারেটোর এই সম্মান প্রাপ্য, কিন্তু তিনি তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি কেন? এই প্রশ্ন তুলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন ব্যারেটোর প্রজন্মের আগের সুপারস্টার চিমা ওকোরি।
রবিবারই হাজার হাজার লোকের সামনে মোহনবাগান থেকে চোখের জলে বিদায় নিয়েছিলেন ব্যারেটো। সোমবার প্রায় নিঃশব্দেই মোহনবাগান তাঁবু থেকে তাঁর বাকি জিনিসপত্র নিয়ে চলে যান সবুজ তোতা। কেউ টেরও পেল না সেভাবে। তাঁবু তখন শুনশান।
বাগানে ব্যারেটো যুগ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার পর নতুন বিতর্ক মাত্রা পেল তাঁর পূর্বসূরির জন্য। প্রশ্ন, অন্য প্রাক্তনরা কেন ব্যারেটোর মতো সম্মান পেলেন না।
আর কোথাও না, একেবারে প্রকাশ্যেই এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন চিমা। ফেসবুকে তাঁর ওয়ালে। এবং তা নিয়ে সেখানেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। মোহনবাগানের ইতিহাসের প্রথম বিদেশি চিমা তাঁর বন্ধুদের উদ্দেশে লিখেছেন, “খুব ভাল, ব্যারেটো এই সম্মান পেল। কিন্তু এই সম্মান কি তাদেরও প্রাপ্য নয়, যাদের এটা পাওনা ছিল! কেউ যদি সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড করে, তা হলে কি সম্মান তারও প্রাপ্য নয়? আপনাদের মত বলুন।”
চিমার এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় ফেসবুকে। দুটো ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক দল বলছেন, মোহনবাগানে চিমার যা কৃতিত্ব, তাতে তাঁর ওই স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল। অন্য দল বলেছেন, ব্যারেটোর মতো ধারাবাহিকতা দেখিয়ে মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হতে পারেননি চিমা। এই বিতর্কে অংশ নিয়ে চিমা একবার লিখেছেন, “আমাকেও কিন্তু জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল।” অন্য জায়গায় মন্তব্য করেছেন, “আমি জোর করে সম্মান চাই না। সম্মান দেওয়া উচিত। এটা আমার তখনকার সময়ের জন্য। এখনকার জন্য নয়। তা ছাড়া আমিও ব্যারেটোর খেলা ভালবাসি।” |
|
চিমা এখন কলকাতায় থাকেন। ওডাফার এজেন্ট। বাচ্চাদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করেন তিনি। শেখান ফুটবল। মোহনবাগানের প্রথম বিদেশি ক্লাবের প্রথম লিগ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন। পরে তিনি মোহনবাগানের কোচ হয়ে কাজ করেছেন।
এ দিকে ব্যারেটো সোমবার সারাদিন কার্যত তাঁর আবাসনেই ফ্ল্যাট পাল্টানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবারই তাঁর ঘোষণা করার কথা, ভবানীপুরে খেলবেন। এ বার ভবানীপুরে তিনি কোচ হিসেবে চাইছেন দেশোয়ালি রবসনকে। যিনি একদা মোহনবাগানের কোচ ও ফিজিও ছিলেন। মোহনবাগান ছাড়ার পর একই কমপ্লেক্সের যে ফ্ল্যাটে ব্যারেটো পরিবার নিয়ে উঠে গেলেন সেটা আরও বড়।
মোহনবাগান কর্তারা তাঁকে দূর ভবিষ্যতে কোনওদিন কোচ বা সি ই ও করে পরে ক্লাবে ফিরিয়ে আনার কথা বারবার বললেও, আরও অন্তত দু’বছর খেলোয়াড় হিসাবেই থাকতে চান ব্যারেটো। বললেন, “এখন কোচিং বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। ভাল ফিজিক্যাল ট্রেনিং করে খেলোয়াড় হিসাবেই গোল পেতে চাই। যখন মনে করব খেলা ছেড়ে দেওয়া দরকার তারপরই অবসর।” ভাল ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের জন্যই নতুন ক্লাবে রবসনকে চাইছেন ব্যারেটো। বললেন, “খেলা ছাড়ার পর স্পোর্টস মানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে আছে। তারপর কোচিং কোর্স করার কথা ভাবা যাবে।” পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন, গোয়ার পর বেঙ্গালুরুতে বেটোর সঙ্গে নিজের অ্যাকাডেমির একটা শাখা খুলবেন। |
|
|
|
|
|