জোড়া মামলায় সমস্যায় বিজেপি। গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে রিপোর্ট দিয়েছেন আদালত বান্ধব রাজু রামচন্দ্রন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় লালকৃষ্ণ আডবাণীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েও হলফনামা দিয়েছে সিবিআই।
গোধরা কাণ্ডে মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। আজ গুলবার্গ সোসাইটি-কাণ্ডে নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির হাতে সিটের সেই রিপোর্ট-সহ একাধিক নথি তুলে দেয় আমদাবাদের আদালত। সামনে আসে আদালত বান্ধবের রিপোর্টও। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা যেতে পারে মোদীর বিরুদ্ধে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায়ও আডবাণীকে রেহাই দিয়েছে স্থানীয় এক আদালত। এর বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সেখানে আবেদন খারিজ হওয়ায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে যায় তারা। এর মধ্যেই আদালত বান্ধবের রিপোর্ট সামনে আসায় এখন চাপে বিজেপি। এই রিপোর্টের পর সিটের রিপোর্ট নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেন, “রিপোর্টটি আদালত বান্ধবের মতামত। তাঁদের তদন্তের ক্ষমতা নেই। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট সিটকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিট-ই মোদীকে ক্লিনচিট দেয়।” তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও কিছু সংস্থা মোদীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আদালত বান্ধবের অভিযোগও ভিত্তিহীন। কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, “রিপোর্ট পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাব। গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা যে তদন্ত করে দেখা উচিত, তা প্রথম থেকেই বলছি।” তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, যখনই এ নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করা হয়েছে, তখনই ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগের ফায়দা তুলেছে বিজেপি। তাই এ নিয়ে আর আগ্রাসী রাজনীতি করতে রাজি নয় তারা। |