টুকরো খবর
বিক্ষোভের সময় থানা চত্বরে বোমা
স্কুলের পরে এ বার থানা। বীরভূমের কাঁকরতলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সম্প্রতি স্থানীয় বড়রা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বোমা ফাটার ঘটনা ঘটেছিল। সোমবার কাঁকরতলা থানা চত্বরেও দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই কে বা কারা বোমা ফাটায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিন বিকেলে কাঁকরতলা থানায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটলেও কে বা কারা এ কাজ করেছে সে বিষযে মুখ খোলেনি পুলিশও। তবে কিছু পুলিশকর্মীর দাবি, ভিড়ের মধ্যে থেকেই এ কাজ কেউ করেছে। ওই পুলিশকর্মীরা বলেন, “থানা চত্বরে বোমাবাজির ফলে যে কোনও পুলিশকর্মী জখম হতে পারতেন। তবে সেরকম কিছু হয়নি।” বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা অবশ্য বলেন, “থানা চত্বরে নয়, থানা থেকে একটু দূরেই বোমা ফেটেছে। ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” বড়রা স্কুল চত্বরে বোমা ফাটানোর ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করার দাবিতেই এ দিন কাঁকরতলা থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক ঘোষ, আনিসুর রহমানদের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী। স্কুলে বোমা ফাটার পরদিন দোষীদের ধরার দাবিতেই বড়রা বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করেছিলেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা বড়রা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান কাঞ্চন অধিকারী, তৃণমূল নেতা অশোক মুখোপাধ্যায়দের গোষ্ঠীর সদস্যেরা। তার পর পুলিশ দু’জনকে ধরে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা প্রকৃত অপরাধী নয় দাবি করে এ দিন থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ চলছিল। বোমাবাজি প্রসঙ্গে অশোক ঘোষের দাবি, এ কাজ তাঁদের কেউ করেননি। অবৈধ কয়লা কারবারে জড়িত কিছু দুষ্কৃতীই বোমা ফাটিয়েছে। তবে থানা চত্বরে যে বোমাবাজি হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।

দুর্নীতির অভিযোগ
১০০ দিনের প্রকল্পে মাস্টার রোলে অতিরিক্ত মজুর দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের দাসপলশা পঞ্চায়েতের ওই ‘দুর্নীতি’তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেয় তারা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ব্লকের দাসপলশা পঞ্চায়েতের বীরনগরী সংসদে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকার দু’টি রাস্তা সংস্কার এবং দু’টি জমি সমতল করার কাজ হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা গ্রামোন্নয়ন সমিতির সভাপতি সিপিএমের বৈদ্যনাথ মণ্ডল, সচিব রবীন্দ্রনাথ বাগদি যোগসাজস করে ওই প্রকল্পের ৪৯০ জন মজুরের বেতন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুয়ো মাস্টাররোল করে পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছেন। গ্রামোন্নয়ন সমিতির বিরোধী দলনেতা রাজ্যধর মণ্ডলের দাবি, “বিষয়টি জানানোর পরই ২১ মার্চ বিডিওকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” বিজেপির ময়ূরেশ্বর ২ মণ্ডল কমিটির সভাপতি তামাল মণ্ডলের দাবি, “তদন্ত করলেই মাস্টাররোলের অসঙ্গতি ধরা পড়বে।”যদিও বৈদ্যনাথবাবুরা বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হুমকির অভিযোগ
স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে ‘হুমকি’ দেওয়া হচ্ছে। এই ভয়ে শুধুমাত্র নিজের বাবা-মা, বাড়ি-ঘর নয় একেবারে জেলা ছাড়তে হয়েছে বর্ধমানের এক নব দম্পতিকে। পানাগড় বাজার বনডিহা মোড়ের বাসিন্দা সুভাষ সাহা ও তাঁর স্ত্রী মেঘা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন--এই দাবিতে সোমবার তাঁরা বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনার দ্বারস্থ হয়েছেন। এসপি বলেন, “বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। সুভাষ ও মেঘাকে তাঁদের জেলার এসপির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাতে বলেছি। তবে বীরভূম জেলায় থাকাকালীন তাঁদের যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় পুলিশ তা দেখবে।” দু’জনেই জানান, মেরে ফেলার হুমকির ভয়ে তাঁরা বীরভূমে বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেঘার বাবা বিজয় অগ্রবাল। তাঁর দাবি, “স্ত্রীকে নিয়ে সুভাষের বাড়িতে যাই। তখন সুভাষ বলেছিল, অসুস্থ দিদার সঙ্গে দেখা করে আমার বাড়ি আসবে। তারা ফিরে এলে আমরা মেনে নেব।”

‘ধর্ষণ’, ধৃত যুবক
বাড়িতে ঢুকে বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিউড়ির কড়িধ্যা লাগোয়া শালবনির একটি বেসরকারি চক্ষু ব্যাঙ্ক হাসপাতালের কাছে সোমবার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শেখ শারাফৎ। সিউড়ি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশজোড়ে তার বাড়ি। ওই হাসপাতাল লাগোয়া একটি বাড়ি স্ত্রীকে ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন হাসপাতালের এক কেয়ারটেকার। ওই বধূর অভিযোগ, “ওই যুবক চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখায়। পরে আমাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ওই যুবক।” তিনি জানান, বাড়ির পিছনের বারান্দার বেরিয়ে তিনি চিৎকার করেন। তখন বাসযাত্রীরা ওই যুবককে তাড়া করে ধরে ফেলেন। জেলা পুলিশ সুুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই যুবক কিছু জিনিস চুরিও করেছে। আজ মঙ্গলবার তাকে আহালতে হাজির করানো হবে।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। নাম মণি লেট (২৮)। বাড়ি বীরভূমের মাড়গ্রামের হাজারপুরে। শনিবার বিকেলে পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মাড়গ্রাম থানার প্রতাপপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.