পেশায় ঠিকাদার সুভাষবাবু জানান, বছর তিনেক আগে পানাগড় বাজার এলাকার গুরুদুয়ারা গলির বাসিন্দা বিজয় অগ্রবালের মেয়ে মেঘার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গত বছর ২ ডিসেম্বর বাড়িতে না জানিয়ে দু’জনে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। গত ২৮ এপ্রিল মেঘা বাপেরবাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়ে বিয়ের কথা জানাজানি হয়। সুভাষবাবুর অভিযোগ, “মেঘা আমার বাড়িতে চলে আসার পরেই শ্বশুরবাড়িতে আমাদের বিয়ের কথা জানিয়ে দিই। তার পর থেকে নানা ভাবে হুমকি আসতে থাকে। তাই দু’জনে বীরভূমে বন্ধুরবাড়িতে আশ্রই নিই। নিরাপত্তার স্বার্থে সোমবার এসপির দ্বারস্থ হয়েছি।” মেঘারও দাবি, “বিয়ে করেছি। শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাই। বাবা-মা অহেতুক হুমকি দিচ্ছেন।” দু’জনেরই অভিযোগ, “তাঁরা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।”
এ দিকে সুভাষের মা সন্ধ্যাদেবীর দাবি, “ওরা এ ভাবে বিয়ে করুক আমরাও চাইনি। মেয়েটি আমার বাড়ি আসার পরে তাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে রাজি হয়নি। তার পর থেকে মেয়ের বাবা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বস্ত্র ব্যবসায়ী, মেঘার বাবা বিজয় অগ্রবাল। তাঁর দাবি, “স্ত্রীকে নিয়ে সুভাষের বাড়িতে যাই। সামাজিক ভাবে ওদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলেওছিলাম। তখন সুভাষ বলেছিল, অসুস্থ দিদার সঙ্গে দেখা করে আমার বাড়ি আসবে। তারা ফিরে এলে আমরা মেনে নেব।” |