রানিগঞ্জে ধৃত ১০
কালীবাড়ির দখল নিয়ে গণ্ডগোলে জখম ছয় পুলিশ
কালীবাড়ির দখল নিয়ে গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে জনতার ছোড়া ইটে আহত হলেন ছয় পুলিশকর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে। সোমবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার বিকেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রানিগঞ্জের বড়দহিতে প্রায় ষাট বছরের পুরনো কালীবাড়ির দেখভাল করেন বিনোদ দাস নামে এক সন্ন্যাসী। বছর পঁচিশ যাবৎ তিনি ওই কাজ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি নিতাই ভকত নামে এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দাবি তোলেন, মন্দিরের উন্নয়নের জন্য পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন ‘উন্নয়ন কমিটি’ গড়তে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে বৈঠক করার নামে সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে এসে নিতাইবাবু মন্দিরের বিশ্রামগার ও দানবাক্সে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে বাড়ি চলে যান। ওই কালীবাড়িতে বিয়ে, বৈতে ও নানা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে এলাকার লোকেরা সপরিবার পুজো দেন। বিশ্রাম নেওয়া ছাড়াও পোশাক বদলানোর জন্য বিশ্রামাগারটি ব্যবহৃত হয়। রবিবার দুপুরে একটি বিয়েবাড়ির লোকেরা ওই মন্দিরে এসেও পোশাত বদলাতে পারেননি। এতেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করতে থাকেন, নিতাইবাবুকে এসে তালা খুলে দিয়ে যেতে হবে। খানিক বাদে ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের বাড়িতে ইট ছোড়া শুরু হয়। পুলিশ এলে তাদের কাছেও দাবি জানানো হয়, নিতাইবাবুকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। পুলিশ দু’পক্ষের মীমাংসা করার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ করেও ইট-পাথর ছোড়া হতে থাকে। ছয় পুলিশকর্মী অল্পবিস্তর চোট পান। পুলিশ লাঠি চালিয়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে নিতাইবাবু-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিনোদবাবুর কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে এই মন্দির পরিচালনায় এলাকার বাসিন্দারাও যুক্ত। কেউ উন্নয়ন করতে চাইলে স্বাগত। তার মানে এই নয় যে চাবি কারও বাড়িতে থাকবে। তা অন্যায্য মনে করেই এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করবেন।”
রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি বলেন, “নিতাই আমাদের কর্মী। কিন্তু তিনি অন্যায় করলে তার দায় দল নেবে না। আইন আইনের পথে চলবে।” আসানসোলের এডিসিপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “গণ্ডগোল পাকানো এবং আক্রমণের অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চার জনের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে।”
স্কুলে ভাঙচুর। তালা ভেঙে স্কুলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। জামুড়িয়ার বাঁক শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাধন মাজি জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রাজেন্দ্র রাম স্কুলে গিয়ে দেখেন, শিক্ষকদের ঘরের তালা ভাঙা। ৬টি চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বেশ কিছু খাতাও। জামুড়িয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.