স্কুল, কলেজ হোক বা চাকরি, সব জায়গাতেই কোনও না কোনও ধরনের সংরক্ষণ রয়েছে। মেয়েদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এ বার বোধহয় শিক্ষা ক্ষেত্রে সেই সংরক্ষণেরই আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন ছেলেরা। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অধ্যক্ষের মত মেনে নিলে অন্তত সেই রকমই ভাবা চলে। অধ্যক্ষ ভলসন থাম্পু সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ছেলেদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের কথা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি বৈঠকেও তিনি তুলে ধরেন। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপত্তিতে পিছু হটলেন থাম্পু। জানিয়ে দিলেন আপাতত ছেলেদের জন্য আলাদা করে কোনও সংরক্ষণ করা হবে না কলেজে। তবে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তার পথ খোলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
১৯৭৫ সালে এই কলেজ কো-এডুকেশন কলেজে পরিণত হয়। এর আগে শুধুমাত্র ছেলেরাই পড়তে পারত ওই কলেজে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে, কলেজে ভর্তির মেধা তালিকায় ছেলেদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। আর সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ওই কলেজের ৬৪ শতাংশ পড়ুয়াই মেয়ে। আর এই ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে থাম্পুর। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মেয়েদের জন্যই শহরে অনেক কলেজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে কোএডুকেশন কলেজ। ছেলেদের তো সেই সুযোগ নেই। কিন্তু থাম্পুর এই যুক্তি মেনে নিতে পারেননি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কলেজের এক শিক্ষিকা নন্দিতা নারায়ণের মতে, “ছেলেদের সুবিধে দিতে হলে শুধু ছেলেদের জন্য কলেজ তৈরির চিন্তাভাবনা করা হোক। কিন্তু তার বদলে মেধাবী ছাত্রীদের কেন বঞ্চিত করা হবে? তাঁরা তো মেধা তালিকার ভিত্তিতেই কলেজে ভর্তি হয়েছেন।”
মেধা আর সংরক্ষণের এই লড়াইয়ে প্রথম দফায় ছেলেরা হেরে গেলেও বিতর্ক কিন্তু এত সহজে পিছু ছাড়ছে না। |